পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

স্কুলের শিরীষ গাছের মৃত্যু ঘিরে থানায় দুই প্রধান শিক্ষক - উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী

স্কুল প্রাঙ্গণে বহু দিন ধরে ছিল একটা শিরীষ গাছ ৷ যেন স্কুলেরই এক সদস্য ৷ আচমকা মারা যায় গাছটি ৷ তার মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক ৷ প্রত্যুত্তরে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক ৷

শিরিষ গাছের মৃত্যু ঘিরে বিতর্কে দুই প্রধান শিক্ষক
শিরিষ গাছের মৃত্যু ঘিরে বিতর্কে দুই প্রধান শিক্ষক

By

Published : Jun 27, 2021, 1:36 PM IST

বর্ধমান, 27 জুন : বিদ্যালয় চত্বরে থাকা শিরীষ গাছটি অনেক দিন ধরে বহু ইতিহাসের নীরব সাক্ষী ৷ আর পড়ুয়াদের সঙ্গীও ৷ বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুল প্রাঙ্গণের দীর্ঘদিনের শিরীষ গাছটি আচমকা মারা যায় ৷ মানুষ না হলেও গাছটির মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল । এবার পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী । বিষয়টি জানাজানি হতেই শহর জুড়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে ।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল ক্যাম্পাসে বহু পুরনো এই শিরীষ গাছের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত চেয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল । কিন্তু স্কুলটি উচ্চমাধ্যমিক হওয়ায় স্কুলের যাবতীয় দায়িত্ব হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের, জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী । তাই বিষয়টি প্রথমে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানানো উচিত ছিল ৷ তা না করে প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক পুলিশের কাছে কেন গেলেন, তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উচ্চমাধ্যমিকের প্রধান শিক্ষক ৷

স্কুলের শিরীষ গাছের মৃত্যু ঘিরে থানায় দুই প্রধান শিক্ষক

আরও পড়ুন : কাটল ভরা কোটালের ভয়, স্বস্তিতে সুন্দরবন

অন্যদিকে প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, "গাছটি হঠাৎ কেন মারা গেল, তার তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলাম । আমি তো কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি । কেন জানি না হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উল্টে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সেটাই হাস্যকর ।"

এই প্রসঙ্গে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী বলেন, "স্কুলটি সেকেন্ডারি হওয়ায় তার যাবতীয় দায়িত্ব হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের । তাই স্কুলে কিছু ঘটলে সেটা আগে আমাদের জানানো উচিত । হঠাৎ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু না জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছেন । এতে স্কুলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে । মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে । তাই প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি আমি ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details