কালনা, 1 মার্চ: অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ভরতি হয়েছে প্রায় শতাধিক শিশু। বেশিরভাগ শিশুরই জ্বর-সর্দি-কাশি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ফলে অভিভাবকরা যাতে শিশুদের নজরে রাখে সেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ হয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে (Adenovirus Cases Increase at Kalna Hospital) গত সাতদিনে ভরতি হয়েছে প্রায় শতাধিক শিশু।
আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত চারজন শিশু নতুন করে ভরতি হয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই জ্বর-সর্দি-কাশি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ করে শিশুরা ঝিমিয়ে পড়ছে। তাদের খাওয়ায় অনীহা দেখা দিচ্ছে ৷ খেলাধুলো করছে না। মনমরা হয়ে বসে থাকছে ৷ এমনকী দু-তিন দিন পরও জ্বর কমছে না। এই সব উপসর্গ দেখা দিলে শিশুদের অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা টুম্পা বিবি বলেন, বাচ্ছার এক বছর চার মাস বয়স। তার প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে। তাই কালনা মহকুমা হাসপাতালে তাঁর ছেলে তিন দিন ভরতি রয়েছে। জ্বর কমছে না। তাকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
কালনা হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় সহীস বলেন, "গড়ে প্রতিদিন 40-50 জন শিশু ভরতি হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই উপসর্গ হচ্ছে জ্বর-সর্দি। দেখা যাচ্ছে জ্বর কমছে না, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে । ফলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে । তবে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে । তারা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ওই বাচ্চাদেরকে প্রয়োজনে অক্সিজেন স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাদের কাউন্সিলিং করা হচ্ছে । নেবুলাইজেশন দেওয়া হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন:অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহল
তিনি আরও বলেন, "শিশুদের মায়েদের লক্ষ্য রাখা উচিত বাচ্ছাদের দিকে। যদি তারা দেখেন, বাচ্চা ঠিকমতো খেতে পারছে না, ঝিমিয়ে থাকছে বেশি কথা বলছে না সেই সমস্ত বাচ্চাদের অবশ্যই হাসপাতালে চিকিৎসা করা উচিত। এক্ষেত্রে বাড়িতে মা-বাবাদের দু-তিন দিন লক্ষ্য রাখা উচিত তারপরও যদি এরকম উপসর্গ থেকে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের চিকিৎসা করানো উচিত।" তিনি আরও জানান, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে বাচ্চা খেলা করছে না, বাচ্চা জড়সড় হয়ে আছে ৷ বাচ্চাদের বুকের মধ্যে শ্বাস ঘন ঘন পড়ছে এরকম ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই সমস্ত বাচ্চাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।