মেদিনীপুর, 6 মে: শৈশবে হাতেখড়ি হয় সহজপাঠ দিয়ে ৷ তারপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম বাঙালির জীবনের সর্বক্ষণের সঙ্গী ৷ বাঙালির জীবনভরের সঙ্গী কবিগুরু ৷ তার জন্মজয়ন্তী আসছে ৷ এই সময় তাঁর সাহিত্য নিয়ে প্রকাশিত বইগুলি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে ৷ কারণ এখন আর তাঁর বই শুধুমাত্র বিশ্বভারতী প্রকাশ করে না ৷ বিশ্বকবির হাতে তৈরি গ্রন্থন বিভাগের কপিরাইট উঠে গিয়েছে ৷ তারপরই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আরও বেশি সর্বজনীন হয়ে উঠেছেন ৷ কপিরাইট না-থাকায় তাঁর বইগুলি প্রকাশ করছে বহু প্রকাশক ৷ দামও তুলনামূলক ভাবে বিশ্বভারতীর থেকে কম ৷ কিন্তু তা কি আদৌ পাঠযোগ্য ?
এ নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুরে বই ব্যবসায়ী, গবেষকের ক্ষতিকর দিকটির কথা তুলে ধরলেন ৷ অন্যদিকে আধুনিক কবিরা জানাচ্ছেন, বইপ্রেমীরা অনেক সহজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইগুলি হাতের কাছেই পাচ্ছেন ৷ পেশায় শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী জানালেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রকাশের অধিকার ছিল শুধুই বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগের ৷ বিশ্বকবি বিশ্বভারতীর পাশাপাশি গ্রন্থনবিভাগেরও প্রধান ছিলেন ৷ 1991 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রন্থণ বিভাগের কপিরাইট ছিল ৷ পরে তা 2021 সাল পর্যন্ত বর্ধিত হয় ৷ ততদিন পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই প্রকাশের একচ্ছত্র অধিকার ছিল গ্রন্থন বিভাগের ৷ রবীন্দ্র অনুরাগী আরও জানালেন, বিশ্বকবি নিজে এই বইগুলি প্রকাশের কাজকর্ম তদারকি করতেন ৷ তাঁর সঙ্গে থাকতেন পুলিন বিহারী সেন থেকে শুরু করে বিখ্যাত ভাষাবিদেরা বইগুলির প্রুফ দেখতেন ৷ বানান ঠিক করতেন ৷ তাই এই বইগুলি নির্ভুল হত ৷ বিশ্বভারতীর প্রকাশিত বইয়ের একটা নিজস্বতা থাকত ৷