মেদিনীপুর, 30 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা জেলে তখন সিপিএমের নিয়োগ নিয়ে চিরকুট তথ্য আনল শাসকদল। এদিন এই চিরকুট তত্ত্ব নিয়ে বামেদের একাধিক নেতার নামের কথা উল্লেখ করল তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তখন কেন মামলা হল না, আর কেনই বা তদন্ত হল না তা নিয়ে দিলেন অদ্ভুত যুক্তি শাসকদলের নেতারা। কেউ বললেন, বদলা নয় বদলের রাজনীতি নিয়ে এসেছিল ৷ কেউবা বললেন, সহানুভূতিশীল দিদি, মানবদরদি হওয়ার জন্য এই তদন্তে হাঁটেননি। তবে এখন দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়াই বাধ্য হয়েছে তাঁদের মুখোশ খুলে দিতে।
রাজ্য রাজনীতি এখন উত্তাল নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। প্রাইমারি, এসএসসি-সহ গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, পৌরসভা এবং বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে জর্জরিত রাজ্য সরকার। আর এই দুর্নীতির দায়ে এখন রীতিমতো জেল খাটছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ শাসকদলের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। এরই মধ্যে এই নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নিজেদের বাঁচতে বিগত 34 বছরের বাম জমানার সঙ্গে বিজেপিকে জুড়ে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। তারা নতুন নতুন তথ্য সামনে এনেছে এবং নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তারা চিরকুটকেই হাতিয়ার করে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করছে।
আর তাই চিরকুট নিয়ে ব্যস্ত নিয়োগ দুর্নীতি এই বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেখানে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, এদিন পথশ্রী ও রাস্তাশ্রীর রাজ্যে 12 হাজার কিলোমিটার রাস্তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তৃণমূলের জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি এবং তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁরা ছাড়াও এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক দিনেন রায়-সহ বিভিন্ন ব্লক সভাপতি এবং সাংগঠনিক নেতা-নেতৃত্ব।