চন্দ্রকোনা, 2 এপ্রিল : থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত একমাত্র ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি বেচে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন সমবায়ে (Cooperative savings account problem)। সমবায়ের গাফিলতিতে সেই টাকা না পেয়ে চরম বিপাকে চন্দ্রকোনার মীনা পালের পরিবার (Thalassemia patient not getting own money)।
নিজেদের গচ্ছিত টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি সুরাহা ৷ টাকা না পেয়ে চরম হতাশায় মীনার পরিবারের সদস্যরা । পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore news) জেলার চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের ধুলিয়াডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মীনা পাল । গ্রামের শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতিতে একমাত্র ছেলে তুহিন পালের চিকিৎসার জন্য 8 লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন ৷ তবে সমবায় সমিতি থেকে গত 2 বছর ধরে কোনও টাকা তুলতে না পারায় ছেলের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার ।
আরও পড়ুন:Hooghly Country Liquor : কচুরিপানার ফাঁকে সারি সারি নীল জার ! চাঞ্চল্য পোলবায়
তাদের দাবি দ্রুত সমবায় কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিক । এই নিয়ে সমবায় দফতর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছে তারা ৷ তবে মেলেনি সুরাহা । জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে সমবায় সমিতির তৎকালীন বোর্ড সদস্যরা সমবায় দফতরের কয়েক কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজের মালিকদের । সেই টাকা ঋণপ্রাপকরা সমবায় সমিতিকে শোধ না করার জন্যই সমবায় সমিতি লাটে ওঠার উপক্রম । আর এর ফলে গচ্ছিত টাকা না তুলতে পেরে মীনা পালের মতো একাধিক মানুষ পড়েছেন গভীর সমস্যায় ৷
চিকিৎসা করাতে গিয়ে সময়মতো টাকা না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে মীনার পরিবার এই নিয়ে বেশ কয়েকবার সমাবায় সমিতি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান প্রতারিত গ্রাহকরা । এ বিষয়ে ব্লক সমবায় আধিকারিক অর্পিতা চক্রবর্তী বলেন, "জেলাশাসক থেকে শুরু করে সকলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ দ্রুত টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন:Village Police Beats Wife : সিভিক ভলান্টিয়ার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর ভিলেজ পুলিশের
রাজ্যে ক্ষমতায় যে শাসকদল থাকে তারাই সমবায় সমিতির বোর্ড পরিচালনা করে । সমবায় সমিতিতে সাধারণ মানুষ তাঁদের গচ্ছিত টাকা জমা রেখে তা প্রয়োজনের সময়ে না পাওয়ায় শাসকদলের দিকেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলছে বিজেপি । যদিও তাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ।
দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ চলছে ৷ তবে কবে নিজেদের জমানো টাকা মিলবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে মীনা পালের পরিবার ৷