মেদিনীপুর 19 নভেম্বর : জেলাশাসক কার্যালয়কে নতুন রূপ দিতে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর লক্ষ্যে পটচিত্র অঙ্কন। এই পট চিত্রের ফলে পটশিল্পীদের নগদ যোগানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে ৷ অন্যদিকে পটচিত্রের ফলে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ৷ এই লক্ষ্য রেখেই এই ছোট্ট প্রয়াস বলে জানান জেলাশাসক ডক্টর রেশমি কোমল।
জেলাশাসক কার্যালয় পটশিল্পের ছোঁয়ায় রঙিন , উৎসাহ পটশিল্পীদের - Potter
জেলাশাসকের কার্যালয় পটচিত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে ৷ জেলাশাসক কার্যালয়কে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর লক্ষ্যে নতুন রূপ দিতে পটচিত্র অঙ্কন করা হচ্ছে। এরফলে কোরোনা আবহে কাজ হারানো শিল্পীরা নতুন করে কাজের বরাত পাচ্ছেন ৷ সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিল্পীরা ৷
এ অবস্থায় তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলো পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন। মেদিনীপুর জেলাকে একটি জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে ৷ আর এজন্য জেলাশাসক কার্যালয়ে পটচিত্র অঙ্কনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ আর এই কাজে লাগানো হয়েছে কয়েকজন পটশিল্পীদের। কয়েক মাস ধরেই তাঁরা এখানে একাজ করে চলছেন। এই পটশিল্পীদের তুলিতে ফুটে উঠেছে বাংলা আর বাঙালির পার্বণের বিশেষ দিকগুলি । এই শিল্পীরা দেবদেবী সহ বিভিন্ন পার্বণের ছবি ফুটিয়ে তুলছেন ৷ তেমনি সমস্ত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাঁরা তৈরি করে ফেলেন তৎকালীন সময়ে আনুষাঙ্গিক সমাজের রীতি-নীতি। জেলাশাসক কার্যালয়ে তাঁরা গড়ে তুলেছেন বারো মাসে তেরো পার্বণের লক্ষ্মী সরস্বতী কার্তিক সহ বিভিন্ন দেবদেবীর রূপ। তাঁদের তুলির টানে ফুটে উঠছে ছিন্নমস্তা সহ দশ মহাবিদ্যার নানা রূপ ৷ আবার ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের সঙ্গে শোভা পাচ্ছেন দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী কালী ৷ এই কাজের ফলে পটশিল্পীদের নগদ অর্থ দেওয়া হচ্ছে ৷ অপরদিকে জেলাশাসকের কার্যালয় নতুন রূপ পেতে চলেছে। মেদিনীপুর জেলাশাসক কার্যালয়ে চারজন পটশিল্পী গত দুমাস ধরে গড়ে তুলছেন নানা ধরণের পটচিত্র। আগামী দিনে অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যালয়েও এই ধরনের পটচিত্র গড়ে তোলা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।