মেদিনীপুর, 3 জুন : কোরোনার সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর মেদিনীপুরের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী । মিষ্টি কিনতে আসা গ্রাহকদের টাকা হাতে না নিয়ে এক গামলা স্যানিটাইজ়ার মেশানো জলে ডুবিয়ে দিতে বলা হচ্ছে । পরে সেই টাকা তুলে রুমাল দিয়ে মুছে তবেই ব্যবহার করছেন মিষ্টির দোকানের কর্মচারীরা । উদ্দেশ্য সংক্রমন ঠেকানো ।
কোরোনা প্রতিরোধে মিষ্টির দোকানে চলছে নোট স্যানিটাইজ়েশন
মেদিনীপুরের রাজাবাজারের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী তাঁর দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছেন "নো মাস্ক নো সুইট" । পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিয়েও রয়েছে বিজ্ঞপ্তি । শুধু তাই নয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে দোকানের সামনে রেখেছেন এক গামলা স্যানিটাইজ়ার মেশানো জল । আর তাতেই ক্রেতারা টাকা ডুবিয়ে দিচ্ছেন ।
কোরোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গোটা বিশ্বের মানুষ চেষ্টা করছেন । বিভিন্ন প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে । প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে । যতদিন পর্যন্ত না ভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন সংক্রমণ বেড়েই চলছে । মৃত্যু ঘটছে বহু মানুষের । ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা দু'লাখ ছাড়িয়েছে । তাই লকডাউন শিথিল করলেও মানুষ সচেতন হয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন । এরকমই সচেতনতা নিয়েছে মেদিনীপুরের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ।
মেদিনীপুরের রাজাবাজারের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী তাঁর দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছেন "নো মাস্ক নো সুইট" । পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিয়েও রয়েছে বিজ্ঞপ্তি । শুধু তাই নয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে দোকানের সামনে রেখেছেন এক গামলা স্যানিটাইজ়ার মেশানো জল । আর তাতেই ক্রেতারা টাকা ডুবিয়ে দিচ্ছেন । সেই ডোবানো টাকা কিছুক্ষণ পর ওই দোকানের কর্মচারীরা তুলে রুমালে মুছে তবে টাকার বাক্সে ভরে রাখছেন । এ-বিষয়ে দোকানের মালিক রূপেন দে বলেন, "কোরোনার সংক্রমণ গোটা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ।এখন আমরা জানি না কেউ কোনওভাবে সংক্রমিত হয়ে মিষ্টি কিনতে আসছেন কিনা । তাই এই ব্যবস্থা । আমরা আশা করছি এর দ্বারা অনেকাংশে কোরোনা সংক্রমণ রোধ করা যাবে ।"