মেদিনীপুর, 5 জুলাই:ভোটের বাংলায় মেদিনীপুর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে ৷ ক্ষমতার দুর্গ থাকবে কার দখলে, তৃণমূল না বিজেপির ? সেই প্রশ্নই ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে৷ যদিও এককালের বামদুর্গ মেদিনীপুর গত 10 বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি৷ এই দশ বছর ধরে সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থন পেয়ে এসেছে শাসক দল৷ তেইশের ভোটে কি নতুন কিছু অপেক্ষা করছে ?
বিজেপির আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকলেও মেদিনীপুরের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের ছবি কিন্তু অন্য কথা বলছে ৷ 2013 সাল থেকে মেদিনীপুর জেলা পরিষদ নিজেদের দখলেই রেখেছে তৃণমূল ৷ তার আগে দাপট ছিল বামেদেরই ৷ মেদিনীপুরের জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা মোট 60 টি ৷ বড় বিষয় হল, এই 60টি আসনই তৃণমূলের দখলে ৷ গত আট-দশ বছরে জেলা পরিষদে প্রভূত কাজ হয়েছে বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা অজিত মাইতির ৷ যিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সময় নষ্ট না করে মেদিনীপুরের উন্নয়নে কাজ হয়েছে৷ যার সুফল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ৷"
2011 সালে বাংলার শাসন হাতে পেয়েই জঙ্গলমহলের উপর বিশেষ নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মাওবাদী আতঙ্ক কাটিয়ে এই 10 বছরে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে এখানকার মানুষ, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ কারণ, মাঝে মাঝেই মাও পোস্টার দেখা যায় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় ৷ জেলা পরিষদের কাজকর্ম নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকেই তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি সভানেত্রী ও প্রাক্তন জেলা পরিষদ সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য ৷ যিনি এককালে সিপিএমের সদস্যও ছিলেন ৷ বিজেপি নেত্রীর কটাক্ষ, "উন্নয়নের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে ৷ যার জবাব মানুষ পঞ্চায়েত ভোটেই দেবে ৷"
আরও পড়ুন:পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের, কোন জেলায় কত বাহিনী ?
এককালের বামেদের শাসনে থাকা মেদিনীপুর গত 10 বছর ধরে তৃণমূলের ৷ বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে বরাবর ভালো ফল করলেও 2019 সালের লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেনি তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই বিষয়টির উপরও বারবার জোর দিয়েছে বিজেপি ৷ যদিও, পশ্চিম মেদিনীপুরের 15 বিধানসভা কেন্দ্রে মাত্র দুটি বিজেপির দখলে ৷ তাই, তৃণমূলকে হারানো বিজেপি-র কাছে কতটা বড় চ্যালেঞ্জ সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের পঞ্চায়েত পাঁচালি ভোটের তিন দিন আগেও বেশ জল্পনাময় ৷