গড়মাল, 15 জুলাই:খেলতে খেলতে হবে পড়াশোনা ৷ জঙ্গলমহলে কমবে স্কুলছুট ৷ এই লক্ষ্য নিয়েশালবনির গোয়ালডিহিতে যাত্রা শুরু হল মডেল অঙ্গনওয়াড়ি আইসিডিএস কেন্দ্রের (Model Anganwadi Centre) । এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া (June Malia) ও জেলাশাসক রেশমী কমল । নতুন করে 650 অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মডেল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসন 12 হাজার টাকা করে দিচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিওদের । জঙ্গলমহলের শিশুরা খেলাধুলোর পাশাপাশি যাতে পড়াশোনাতেও মন দেয়, সে জন্য এই মডেল সেন্টার গড়ে তোলা ।
খেলতে খেলতে পড়াশোনা ৷ আর তার মাধ্যমেই শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটানো ৷ এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ বার জঙ্গলমহলে শুরু হল মডেল অঙ্গনওয়াড়ি প্রস্তুতির কাজ । এ দিন শালবনি বিধানসভা এলাকার গড়মালের গোয়ালডিহিতে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মডেল অঙ্গনওয়াড়ি আইসিডিএস কেন্দ্র উদ্বোধন হয় । উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া । উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রেশমী কমল-সহ বিশিষ্ট আধিকারিকবৃন্দ ।
ইতিমধ্যে জেলায় প্রায় 650টি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তৈরির কাজ চলছে । যেগুলি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে 12000 টাকা করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন । এমন ভাবে কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হচ্ছে যাতে সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে দেখে শিশুরা স্কুলে আসে । শালবনি এলাকায় প্রায় 298টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ৷ যার মধ্যে বেশকিছু কেন্দ্রকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে । এ ক্ষেত্রে সরকার তাদের বাড়তি অর্থ দিচ্ছে ।
আরও পড়ুন:পেট্রলের ছ্যাঁকায় ছন্দে ফিরছে রায়গঞ্জের সাইকেল ব্যবসা
জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলছুট হতে দেখা যায় ৷ ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি অনীহা এবং খেলার প্রতি একাগ্রতা থাকে কচিকাঁচাদের । যার ফলে তারা স্কুল অভিমুখ থেকে দূরে সরে যায় । তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে চাকচিক্যময় ও উন্নতমানের করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন । এই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উদ্বোধন হল, যেখানে শিশুরা আনন্দ করে এবং খেলার ছলে পড়াশোনা করতে পারবে ৷ থাকবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ৷ এই মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎসাহ ধরা পড়েছে এলাকার মানুষের মধ্যে । বিশেষ করে যেখানে নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ রয়েছেন, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা রয়েছেন, তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলমুখী করতে এই প্রয়াস কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা ।