মেদিনীপুর, 21 অগস্ট:অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার বিজয়ওয়াড়ার একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেএল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (বি.টেক) পড়তে গিয়ে প্রায় একমাস আগে রহস্য মৃত্যু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের পড়ুয়া সৌরদীপ চৌধুরীর ৷ ছেলের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবার ৷ সৌরদীপের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর বাবা সুদীপ চৌধুরী ৷ ছেলের মৃত্যু রহস্যের সমাধানে হায়দরাবাদের হাইকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নয়েছেন সৌরদীপের বাবা ৷ তার আগে সোমবার মেদিনীপুরে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে যান সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরী ৷ তিনি জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর পর যেভাবে ব়্যাগিংয়ের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে, তাতে তাঁর আশা ছেলের হয়ে তাঁর এই লড়াইয়ে তিনি অনেকটাই আইনি সাহায্য পাবেন ৷ ছেলেকে ব়্যাগিং করা হয়েছে বলে আশঙ্কা তাঁর ৷
সুদীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, গত 24 জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই 13 তলা হস্টেলের 11 তলা থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয় সৌরদীপের ৷ অন্তত সেখানকার পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের এমনটাই জানিয়েছে বলে দাবি সৌরদীপের বাবার ৷ তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ মৃত ছাত্রের পরিবার ৷ সুদীপ চৌধুরীর দাবি, প্রায় একমাস হতে চললো ছেলে মারা গিয়েছে, কিন্তু তারপর সৌরদীপের হোস্টেল থেকে কোনও ফোন আসেনি, কেউ খোঁজ খবর নেয়নি ৷ তাই এবার বিচার পেতে হায়দরাবাদে যাচ্ছেন সুদীপ চৌধুরী ৷ সেখানকার হাইকোর্টে মামলা করবেন তিনি ৷ তার আগে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে এসে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৷ জানান, তাঁর স্ত্রী এখনও ছেলের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি ৷ মাঝে মাঝেই কেঁদে উঠছেন তিনি আর ছেলের ডাক নাম ধরে বলে চলেছেন, "মানু একটা কথা বলব, মানু একটা কথা বলব ।"