ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ পরিজনের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা পশ্চিম মেদিনীপুর, 4 জুন: ভায়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর 2 দিন অতিক্রান্ত ৷ এখনও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ শ্রমিকদের ৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে থাকা পরিজনের খোঁজে পরিবারের সদস্যরা ছুটে বেড়াচ্ছেন এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে । এখনও নিখোঁজ একাধিক যাত্রী ৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও অনেক পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি নিহতদের দেহ ৷ পরিজনদের খোঁজ পেতে হয়রানির শিকার থেকে বাঁচতে প্রশাসনের সাহায্য চাইছেন নিহত ও নিখোঁজদের আত্মীয়রা ।
চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা 300-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ৷ আহতের সংখ্যাও এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ৷ দুর্ঘটনার পরেই মেদিনীপুর, খড়গপুর, কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে ৷ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য জানা যাচ্ছে ৷
এই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে চেন্নাই রওনা দিয়েছিলেন মালদার 6 জন পরিযায়ী শ্রমিক । দুর্ঘটনার পর শ্রমিকরা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ৷ এখনও পর্যন্ত আহত অবস্থায় 5 জন শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া গেলেও সাধু চৌধুরী নামে এক শ্রমিক নিখোঁজ ৷ ওড়িশা বালাসোরের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও মিলছে না তথ্য । ফলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার । জানা গিয়েছে, নরেন চৌধুরী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ৷ দীপঙ্কর মণ্ডল ও তাপস চৌধুরী নামে এক শ্রমিক বালেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ৷ মোনা চৌধুরী ও বাপি চৌধুরী ফিরে এসেছেন ৷
আরও পড়ুন: শনাক্ত হয়নি, 100 জনের দেহ রাখা হচ্ছে ভুবনেশ্বর এইমসে
নিখোঁজ শ্রমিকের আত্মীয় সদানন্দ চৌধুরী বলেন,"সাধু চৌধুরী আমার পিসে শশুরমশাই হয় । দুর্ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাচ্ছি না ৷ পাচ্ছি না কোনও সাহায্য ।" উপস্থিত আরও এক শ্রমিক ইসরাউল শেখ বলেন, "আমার এই কাজে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু কোনও কারণে আমি যায়নি । আমাদের 6 জনই কাজে গিয়েছিল ৷ এখন মালদা থেকে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছি ৷ মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজে গিয়েও কোন খোঁজ পেলাম না ৷"