মেদিনীপুর, ৩ মার্চ : পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা রোড ও মেদিনীপুর শহরে বিজয় সংকল্প মিছিল বেরোলে বাইক আটকায় পুলিশ। গোয়ালতোড়ে বাইক আটকানোর সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিন BJP কর্মী। ধস্তাধস্তিতে দু'জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন BJP কর্মীরা। মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে শতাধিক কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ একসঙ্গে বাইক র্যালি কর্মসূচির ডাক দেয় যুব মোর্চা। মেদিনীপুর ছাড়াও রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই BJP-র 'বিজয় সংকল্প' মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। মিছিলে যোগদানকারীদের আটক করা হয়।
পশ্চিম বর্ধমান:
BJP-র রাজ্যব্যাপী কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রানিগঞ্জের রেলস্টেশন থেকে রাজবাড়ি নজরুল স্ট্যাচু পর্যন্ত বাইক মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে মিছিল শুরু হওয়ার সাথে সাথেই রানিগঞ্জ থানার পুলিশ তা আটকে দেয়। BJP কর্মীরা পায়ে হেঁটে মিছিল করে স্ট্যাচুর সামনে পৌঁছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মোতায়েন করা হয় পুলিশ। জোর করে অবরোধ তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুরুলিয়া:
পুরুলিয়াতেও BJP-র 'বিজয় সংকল্প' মিছিলকে বাধা দেয় পুলিশ। পুরুলিয়া শহরে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় মিছিলটি। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়া BJP নেতা বাপ্পা চ্যাটার্জি বলেন, "আমাদের যেকোনও কর্মসূচিতেই পুলিশ বাধা দেয়। শাসকদলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। এই কর্মসূচির আগাম অনুমোদন নিলেও অযথা আমাদের হয়রানি করছে পুলিশ।" শহরে ঢোকার মুখে উড়ালপুলের শেষ প্রান্তে পুলিশ ব্যারিকেড করে বাধা দেয় তাদের। ঘটনায় বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ৬০ (এ) জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় ঘণ্টাখানেকের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে।
উত্তর ২৪ পরগনা:
বারাসত থেকে 'বিজয় সংকল্প' মিছিল শুরু হওয়ার সময় বারাসত থানার IC দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে হাজির হয়। বিনা অনুমতিতে বাইক মিছিল করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দলীয় কর্মসূচিতে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হয় BJP-র সমর্থকরা। BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি শংকর দাস বলেন, "পুলিশ বাইক মিছিলের অনুমতি না দেওয়ায় আমরা এই কর্মসূচি বাতিল করেছি। পুলিশ আমাদের কিছু বিধিনিষেধের কথাও বলে। তা সত্ত্বেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাইক মিছিল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ তা করতে দেয়নি।"