দুর্গাপুর, 9 মে : তৃতীয় দফায় লকডাউন চলছে দেশে । অরেঞ্জ জ়োনে থাকা পশ্চিম বর্ধমান জেলার বেনাচিতি বাজারে ইতিমধ্যেই শর্তসাপেক্ষে প্রায় সমস্ত দোকানপাট খোলার কথা জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে । কিন্তু তারপরই উলটো ছবি ধরা পড়ল । পুলিশি নজরদারি একটু কমতেই আবার স্বাভাবিক দিনের ছবি ফিরে এসেছে বেনাচিতি বাজারে । কোনওরকম সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না এখানে । রাস্তার উপরেই চলছে দেদার পার্কিং । কোনও দূরত্ব বজায় না রেখেই চলছে কেনাবেচা । অনেকে মাস্ক না পরেও বাজার করতে চলে আসছেন ।
পুলিশি নজরদারি কমতেই বেনাচিতি বাজারে উধাও সামাজিক দূরত্ব - lockdown news
পুরোনো ছন্দে ফিরেছে বেনাচিতি বাজার । সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে ফুটপাথেই যানবাহন রেখে, গায়ে গা লাগিয়ে আবার আগের মতো কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে মানুষজন ।
লকডাউনের দ্বিতীয় দফা পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল । দুর্গাপুরের ঘিঞ্জি বেনাচিতি বাজারের নজরদারিতে সদা তৎপর ছিল পুলিশ-প্রশাসন । এই বাজারের আনন্দ গোপাল মুখোপাধ্যায় সরণির উপরেই ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা বসে পড়েন । সেই সমস্যা মেটাতে পুলিশের তরফে ব্যবস্থাও নেওয়া হয় । তারা জানিয়েছিল, এই বাজারে যানবাহন যত্রতত্র রাখা যাবে না । নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল দু'-তিনটি জায়গায় । বাজারে সামাজিক দূরত্বকেও গুরুত্ব দিয়ে মেনে চলা হচ্ছিল । কিন্তু লকডাউনের তৃতীয় দফায় অরেঞ্জ জ়োনে থাকা এই এলাকায় শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট খোলার নির্দেশিকা জারি হয় । সেদিন থেকেই কোথাও যেন ছবিটা বদলাতে শুরু করে । ফুটপাথেই যানবাহন রেখে, গায়ে গা লাগিয়ে আবার আগের মতো কেনাকাটা শুরু করে দেন মানুষজন । আর এর জেরেই কোথাও যেন কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে ।
এবিষয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের 2 নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার বলেন, "মানুষজনকে সচেতন করতে গিয়ে দিনরাত এক করেছি । পুলিশ, প্রশাসন সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালিয়েছে । কিন্তু সচেতনতার কোনও ছবি দেখা যাচ্ছে না বেনাচিতিতে । আসলে দুর্গাপুর কোরোনামুক্ত থাকার কারণে হয়ত মানুষ একটু বেশিই সাহসী হয়ে উঠছেন । কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন, যে কোনও মুহূর্তে যে কোনওভাবে থাবা বসাতে পারে কোরোনা ।"