আসানসোল, 7 অক্টোবর : ডেঙ্গি বা কোরোনা, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন গ্রামীণ এলাকায় জনস্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এরাই মূলত প্রথম সারিতে কাজ করেন । অথচ সরকারিভাবে বিভিন্ন পরিষেবা থেকে ভিলেজ রিসোর্স পার্সনরা(VRP) বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ । তাই আজ আসানসোলে রবীন্দ্রভবনের সামনে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন তাঁরা ।
বঞ্চনার অভিযোগে আসানসোলে অবস্থান-বিক্ষোভ ভিলেজ রিসোর্স পার্সনদের
কোরোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও সরকারি সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ । আর তাই আজ আসানসোলে রবীন্দ্রভবনের সামনে রাস্তার ধারে বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ।
2015 সালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সহ সরকারি নিয়োগ নীতি মেনে এই কর্মীদের নিয়োগ হয় । মূলত দৈনিক কর্মদিবস হিসেবে তাদের বেতন দেওয়া হয় । গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সংগ্রহ, বাসিন্দাদের সচেতন করা, জনস্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান সহ আরও নানা কাজ করতে হয় তাদের । বর্তমান কোরোনা পরিস্থিতিতে একই ভাবে এলাকায় ঘুরে রোগীদের তথ্য সংগ্রহ, সবাইকে সচেতন করা, এলাকায় কেউ রোগ গোপন করছেন কি না তার খবর রাখা সবই করতে হচ্ছে । মাসে মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকার মতো বেতন পান তাঁরা । যদিও এই তিন মাস বেতন পাননি বলে অভিযোগ ।
কোরোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও সরকারি সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ । আর তাই আজ আসানসোলে রবীন্দ্রভবনের সামনে রাস্তার ধারে বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । প্রায় 650 জন কর্মী এই আন্দোলনে যোগ দেন । এক কর্মী বলেন, ‘‘ সরকারি নিয়োগনীতি মেনে আমাদের নিয়োগ হয়েছে । আমাদের ন্যূনতম 15 হাজার টাকা বেতন চাই । এছাড়া অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা দিতে হবে ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে আমাদের নিয়ে আসতে হবে ।’’ সালানপুর গ্রামীণ এলাকার কর্মী ঝর্ণা প্রামানিক বলেন, ‘‘আমাদের সরকারি নিয়মমাফিক বেতন দিতে হবে, স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হবে, অন্যান্য সরকারি সুযোগ দিতে হবে ।’’ যদিও আন্দোলনের পরও সরকারিভাবে কোনও আশ্বাস পাননি এই VRP কর্মীরা । দাবিদাওয়া আদায়ে আগামীতে তাই লাগাতার আন্দোলনের পথেই তাঁরা হাঁটবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ।