দুর্গাপুর,24 মে: চরম সংকটের মুখে কাঁকসা আদিবাসী গ্রামের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। তাই কাজ বন্ধ হয়েছে, সংকটে কাটছে তাঁদের দিন। কাঁকসার মলানদীঘি, বনকাটি, বিদবিহার পঞ্চায়েত এলাকায় একশোর বেশি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। খুব কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করতে হচ্ছে তাঁদের। ভাতের হাঁড়ি চাপাতে গরমের মধ্যে কাঠের উনুনের উপর ভরসা করতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে হয় রান্না, তারপর জোটে দু‘মুঠো ভাত।
মলানদীঘির রক্ষিতপুর, চুয়া, বড়ডোবা, কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার মহিলারা নিত্যদিন জঙ্গল থেকে শুকনো পাতা এবং পড়ে থাকা শুকনো কাঠ মাথায় করে নিয়ে আসার পর শুরু করেন রান্না। এই প্রখর সূর্যের তাপের মধ্যে চলে তাঁদের জীবন সংগ্রাম। আবেদন করেছেন একাধিক বার, কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস। বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয় জঙ্গলের পাতা এবং শুকনো কাঠের উপর। পরিবারগুলির দাবী, একাধিক বার তাঁরা আবেদন করেছেন সরকারি দফতরে, কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস। আর ফাঁকা সিলিন্ডার থাকলেও যা গ্যাসের দাম তা যোগানো অসম্ভব।