কুলটি, 11 মে : লকডাউনে কাজ নেই । রোজগারও বন্ধ । কোনওমতে ত্রাণে পাওয়া জিনিসপত্র দিয়ে দিন চলছিল । কিন্তু গতকাল ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেছে । বাড়ির চালা পর্যন্ত উড়ে গেছে । নষ্ট হয়েছে ত্রাণে পাওয়া খাবার-সহ বাড়ির আসবাবপত্র । একদিকে লকডাউন অন্যদিকে শিরে সংক্রান্তি এই ঝড় । চরম সমস্যায় কুলটির ভুঁইঞা পাড়ার বেশ কয়েকটি পরিবার ।
ঝড়ের দাপটে সর্বহারা কুলটির একাংশ - wb_asn_02_effects of strom at kulti_7203430
গতকাল বিকেলের পর থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় জেলায় । কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে ।
গতকাল বিকেলের পর থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় জেলায় । কালবৈশাখির তাণ্ডবে আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে । ফলে গোটা শহরে প্রায় বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । কুলটির ভুঁইঞা পাড়ায় 5 টি কাঁচা বাড়ির ছাদ ঝড়ের দাপটে উড়ে যায় । ভেঙে পড়ে দেওয়াল । বাড়ির ভেতর থাকা সমস্ত আসবাবপত্র থেকে শুরু করে খাবার জিনিসপত্র সবই নষ্ট হয়ে যায় ।
স্থানীয় বাসিন্দা মিনু ভুঁইঞা বলেন, " আমরা প্রত্যেকেই দিনমজুর । কোনওভাবে দিন চলে । লকডাউনের কারণে আমাদের কাজ নেই । ত্রাণে কিছু জিনিসপত্র পেয়েছিলাম । সেই দিয়েই দিন চলছিল । কিন্তু গতকাল ঝড়ে সব তছনছ হয়ে গেছে । এখন আমরা কী করে খাব সেটাই ভাবতে পারছি না । বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সাইকেল অন্যান্য সামগ্রী সবই বাড়ি ধসে চাপা পড়েছে । " সকাল থেকে সেসব কিছুই উদ্ধার করতে ব্যস্ত ছিল ভুঁইঞা পাড়ার বাসিন্দারা । আবেদন, তাদের এই দুরবস্থায় প্রশাসন থেকে সাহায্য করা হোক । এবিষয়ে আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ মির হাসিম বলেন, " খবর পেয়েছি ভুঁইঞা পাড়ার বাসিন্দারা খুব সমস্যার মধ্যে আছেন । খুব তাড়াতাড়ি কিছু ব্যবস্থা করা হবে । "