দুর্গাপুর ,22 অগাস্ট : দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ নেতাজি সুভাষ রোড এলাকার একটি আবাসন থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ । মৃতার নাম ঝুম্পা মজুমদার (30) । প্রাথমিক অনুমান তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে । অভিযোগ উঠেছে স্বামী বিশ্বনাথ মজুমদারের বিরুদ্ধে । ঘটনার পর থেকেই পলাতক সে । ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না দম্পতির সাত বছরের মেয়েকেও।
মহিলার রহস্যমৃত্যু, পলাতক স্বামী - durgapur
দুর্গাপুরে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে । শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে । স্বামী পলাতক ।
নেতাজি সুভাষ রোডে ইস্পাত কারখানার আবাসনে বেশ কয়েক বছর ধরেই স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে থাকে বিশ্বনাথ । এলাকার অনেকেরই অভিযোগ, বিশ্বনাথ প্রায়ই মত্ত অবস্থায় ঝুম্পাকে মারধর করত । এমনকী তার বাড়িতে নিয়মিত মদ, গাঁজার আসর বসত বলেও অভিযোগ । প্রতিবেশী রমা মণ্ডল জানান, গতরাতে ঝুমা ও বিশ্বনাথের মধ্যে অশান্তি বাধে । চিৎকারও শোনা যাচ্ছিল । পারিবারিক ব্যাপার ভেবেই কেউ বচসা থামাতে যাননি । রাত্রি প্রায় 10টা নাগাদ বাড়ির সামনে একটি পুলিশের গাড়ি এসে থামে । খবর দেওয়া হয় 10 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রাজীব ঘোষকে । তিনি এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বাড়িতে ঢুকে দেখেন বাড়ির সমস্ত জিনিস ছড়ানো ছেটানো অবস্থায় পড়ে আছে । মেঝেতে পড়ে আছে ঝুম্পার দেহ । মৃতদেহের পাশে একটি ওড়নাও পড়ে থাকতে দেখা যায় । ঝুম্পার গলায় কালো দাগ দেখা যায় বলে দাবি কাউন্সিলরের । পুলিশের ও স্থানীয় বাসিন্দা-সহ কাউন্সিলারের প্রাথমিক অনুমান ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ।
ঘটনার পর থেকেই বিশ্বনাথ পলাতক । কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ জানান, "বিশ্বনাথ মজুমদার একজন দাগি অপরাধী । তার বিরুদ্ধে এর আগে থানায় অনেক অভিযোগ জমা হয়েছিল । আমরা একবার পাড়া থেকে বের করে দিয়েছিলাম । কিন্তু ওর স্ত্রী মুচলেকা দিয়ে ফের আবার আবাসনে বসবাস শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন । পুলিশ বেশ কয়েকবার বিশ্বনাথকে গ্রেপ্তারও করেছিল বলে শুনেছি । এই বাড়িতে বিশ্বনাথ ওক কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে নিয়মিত মদ-গাঁজার আসর বসাত বলেও আমরা জানি ।" গতরাতে পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়।
তবে রহস্য দানা বেঁধেছে আরও এক জায়গায় । ঝুম্পা মজুমদারের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে তাদের সাত বছরের মেয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি । ওই বাড়িতেই দম্পতির সঙ্গে থাকত বিশ্বনাথের এক ভাই । তাঁকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।