দুর্গাপুর, 16 ডিসেম্বর: দেশের 'শাহেনশা' 'বাদশা'রা তাঁর জীবন বদলে দিতে পারে না ৷ দুর্গাপুর উৎসব-এ গিয়ে নাম না করে মোদি-অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ একই সঙ্গে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি ৷ জমাটি অনুষ্ঠানে গানে-গানে দর্শকদের হৃদয় জয় করতেও দেখা গেল রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স বিভাগের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। পাশাপাশি 54 তম জন্মদিনে উদ্যোক্তাদের বিরাট আয়োজন বাবুল সুপ্রিয়ের অনুষ্ঠানকে এক বাড়তি মাত্রা দেয়।
দর্শক আসনে কয়েক হাজার শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়ে বাবুল গানের মাঝেই স্বীকার করে নিলেন, "গানেই বাধা আসছিল বারবার। আমি আমার স্ত্রী'কে বলেছি, গান আমার বেটার হাফ। তাই আমি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।" এরপর নাম না করে মোদি-শাহকেও কটাক্ষ করেন বাবুল ৷ তিনি বলেন, "আমার জীবনের শাহেনশা আমিই। দেশের শাহেনশাহ বা বাদশারা আমার জীবন বদলে দিতে পারে না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, তিনি আমার সঙ্গীত স্বত্তাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন।" মঞ্চের নীচে দর্শকদের মধ্যেও এদিন মিশে যেতে দেখা যায় বাবুলকে ৷ তিনি আরও বলেন, "আমি রাজ্যের মন্ত্রী বলে নাচব না, গাইব না এটা হতে পারে না।"
শুক্রবার ছিল বাবুল সুপ্রিয় জন্মদিন। ওইদিন দুর্গাপুর উৎসবে গান গাইতে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উদ্যোক্তাদের তরফেও আয়োজন রাখা ছিল। মঞ্চে কেক কেটে দর্শকের সামনেই জন্মদিন পালন হয় বাবুল সুপ্রিয়ের। আবেগপ্রবণ বাবুল সুপ্রিয় সংগীতের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা অকপটে স্বীকারও করে নেন এদিন। আর তা স্বীকার করতে গিয়ে নাম না করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের কথাও জানিয়ে দিলেন গায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী। আগামী সপ্তাহে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হচ্ছে বলেও জানান বাবুল।
আর এদিনই নাম না করে নরেন্দ্র মোদিদের খোঁচা দিয়ে বলেন , "দেশের শাহেনশা, বাদশারা তার জীবনের শাহেনশ, বাদশা নয়।" তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর তিনি সংগীত জগতে নিজের মতো করে বিচরণ করতে পারছেন এবং তার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতেও ভোলেননি দুর্গাপুরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে। তবে গানই যে তাঁর বিজেপি ছাড়ার মূল কারণ, তা তিনি এদিন অকপটে স্বীকারও করে নেন। তাই গানকেই তিনি তার "বেটার হাফ" বলে সরল স্বীকারোক্তি বাবুলের ৷