দুর্গাপুর, 21 ডিসেম্বর : রেলের জমিতে দোকান-ঘর করা হয়েছে । তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তুলে নিতে হবে সেই দোকান-ঘর । রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই নোটিস পাওয়ার পরই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র দ্বারস্থ হন দোকানদাররা । আজ সেই প্রসঙ্গেই মুখ খোলেন বাবুল । বলেন, "আমি সহানুভূতিশীল ।"
"আমি সহানুভূতিশীল", রেল জমিতে দোকান-ঘর প্রসঙ্গে বাবুল - সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়
দোকান-ঘর তুলে নেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের থেকে নোটিস পেয়েছিলেন । তাই সমস্যার সমাধানে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় । আজ সেই প্রসঙ্গেই বাবুল বলেন, "আমি সহানুভূতিশীল ।"
অন্ডাল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় প্রায় 300 টি দোকান-ঘর রয়েছে । তাদেরই রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি নোটিস দেওয়া হয় । তাতে লেখা হয়, "24 ডিসেম্বরের মধ্যে দোকান-ঘর তুলে নিতে হবে ।" এরপরই বাবুল সুপ্রিয়কে পুরো বিষয়টি জানান ওই দোকান-ঘরের মালিকরা । এই প্রসঙ্গে আজ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "অনেকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ-উপরোধ চলছে । আমি পীযূষ গয়ালের সঙ্গে কথা বলেছি । আমি দেখছি । আমি সহানুভূতিশীল । কিন্তু সবকিছুরই একটা নিয়ম আছে । তাছাড়, আমি সবেমাত্র চিঠিটা পেয়েছি । এখনই কিছু মন্তব্য করতে চাইছি না ।"
অন্যদিকে, 34 নম্বর জাতীয় সড়কের রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে । কিন্তু জমি জট যে এখনও কাটেনি সেকথাও স্বীকার করেছেন বাবুল সুপ্রিয় । তিনি বলেন, "34 নম্বর জাতীয় সড়কে দিনের পর দিন কাজ হচ্ছে না । নীতিন গড়কড়ির বাড়িতে আমি নিজে মিটিং করেছিলাম । সেখানে সবাই জানায় যে, কাগজে কলমে জমি অধিগ্রহণ হয়েছে । অথচ কাজ করতে গেলে আমাদের মেশিন সহ যাবতীয় জিনিস সেখানকার মানুষ ঘিরে ফেলছে । অর্থাৎ প্রকৃতভাবে জমি জট ছাড়ানো যায়নি । তাই নীতিন গড়কড়ি বলেছিলেন, টাকা রাজ্য সরকারকে দিয়ে দেওয়া হোক । তারা এই কাজ করবে । কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও জমি জট ছাড়াতে পারেনি । তাই টাকা এখনও পড়ে রয়েছে ।"