মাইথন,22 ডিসেম্বর : কোভিড আতঙ্কে জেরবার সাধারণ মানুষ ৷ দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে গৃহবন্দী সকলেই ৷ অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু মানুষ ৷ সারা বিশ্বজুড়েই ধরা দিয়েছে এক চিত্র ৷ অন্যদিকে মাইথনের ছবি কিছুটা হলেও অন্যরকম ৷ অর্থনৈতিক মন্দা ছুঁতে পারেনি মাইথনের জেলে-মাঝিদের ৷ লকডাউন এর সময় উপার্জন চলত মাছ ধরে আর এখন উপার্জন চলছে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে ৷
মাইথনে মাঝি গাথা
কোভিড আতঙ্কে জেরবার বিশ্ব ৷ কিন্তু ব্যতিক্রমী মাইথন ৷ নেই কোভিড আতঙ্ক ৷ শীতের মরশুমে মাঝিদের ভরসা তাই পর্যটক ৷ অন্য সময় জলাধার থেকে মাছ ধরা ৷
মাসের শুরু থেকেই জাঁকিয়ে পড়েছে শীত । আর শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়েছে ভিড় । বাংলা - ঝাড়খন্ড সীমান্তে অবস্থিত মাইথন, পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে বরাবরই জনপ্রিয় ৷ একদিকে প্রবল জলরাশি, অন্যদিকে সবুজ পাহাড় ৷ এই দুইয়ের টানেই বহু মানুষ ভিড় জমান মাইথনে ৷ বিশেষ করে শীতকালে, মাইথনে আসেন রাজ্যের বহু পর্যটক ৷ দু -এক দিনের অবসর কাটাতে ৷ এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ৷ শীতের সময় পর্যটকদের কাছে একমাত্র আকর্ষণ মাইথনের বিপুল জলরাশিতে নৌকাবিহার ৷ এবার আসা যাক মাঝিদের প্রসঙ্গে ৷ লকডাউনের সময় পাহাড় ঘেরা এই বিপুল জলরাশিতে মাছ ধরে সংসার চালিয়েছেন তারা ৷ কিন্তু শীতের শুরুতেই পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়েছে মাইথন ৷ এবার রেকর্ড ভিড় হতে পারে বড়দিন বা নতুন বছরের শুরুতে ৷ তেমনই আশা করছেন মাঝিরা ৷ অন্য সময় এখানে প্রায় 150 টি নৌকা থাকে ৷ এই নৌকা করেই পর্যটকরা জলবিহারের আনন্দ লাভ করেন ৷ উপার্জন হয় মাঝিদের ।
মাঝিদের একাংশের বক্তব্য, লকডাউনের সময় মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়নি কেউই ৷ কারণ সেই সময় এই বিপুল জলরাশি থেকে মাছ ধরে মাছ বিক্রি করতেন তারা । সেই সময়ে ভিন্ রাজ্য থেকে মাছ আসা বন্ধ ছিল । তাই স্থানীয় বাজারগুলিই ছিল ভরসা ৷ ফলে মাছের দামও পাওয়া গিয়েছে ভালো । আবার শীতের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের ভিড় । ট্রেন-বাস বন্ধ থাকার জেরে অনেকেই যেতে পারছেন না রাজ্যের বাইরে ৷ ফলে শীতের শুরু থেকেই ভিড় বাড়ছে মাইথনে ৷