আসানসোল, 3 এপ্রিল: এগিয়ে চলেছে বেশ কয়েকটি ভ্যান রিকশা । তাতে সাজানো ত্রাণের প্যাকেট। সঙ্গে চলেছেন আসানসোল পৌরনিগমের কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে অন্তত পক্ষে 25-30 জন যুবক। কেউ ছবি তুলছেন। কেউ বা দরজায় কাটাকুটি চিহ্ন দিচ্ছেন। বেশ হইহই কান্ড। আর এমনি ভাবেই এলাকাবাসীদের ত্রাণ বিলোলেন আসানসোল পৌরনিগমের 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়।
জাঁকজমক আয়োজনে এলাকাবাসীদের ত্রাণ বিলি কাউন্সিলরের ! - Asansole
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন ৷ এর প্রভাবে যে সমস্ত হতদরিদ্র মানুষ ও দিন মজুররা খেতে পাচ্ছেন না তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন আসানসোল পৌরনিগমের 48 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় ৷ ত্রাণ বিলি করলেন তিনি দরিদ্র মানুষদের মধ্যে ৷ প্রশ্ন উঠেছে সরকারের পক্ষ থেকে বার বার জমায়েত না করার আবেদন করা সত্ত্বেও কীকরে জমায়েতে প্রশ্রয় দিলেন শাসকদলের কাউন্সিলর?
গতকাল বেলা বাড়তেই আসানসোল পৌরনিগমের 48 নম্বর ওয়ার্ডের বুধা এলাকায় বেশ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন। মহিলা তৃণমূলকর্মীরা এসেছেন দলবেঁধে। তাঁরা প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরছেন চাল, আলু, মাস্ক সহ অনান্য ত্রাণ সামগ্রী। কোরোনার মোকাবিলায় লকডাউনের প্রভাবে যে সমস্ত দিনমজুর, হতদরিদ্র মানুষরা খেতে পাচ্ছেন না তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়। প্যাকেট পেতেই প্রায় মিছিলের মত লোক নিয়ে কাউন্সিলর পাড়ায় বেরিয়ে পড়লেন । চলল ত্রাণ বিতরণ। লোকজন হাসি মুখে এগিয়ে এসে প্যাকেট নিচ্ছেন। মিলছে হাত। দূরত্ব বজায় রাখার কোনও দৃশ্যই দেখা যায় নি।
কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ‘‘সরকারি সাহায্যে নয়, আমি ভিক্ষে করে এলাকাবাসীদের জন্য চাল, আলু, মাস্ক কিনেছি। 3000 মানুষকে বিলোনো হল এই ত্রাণ।’’
কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়ের এই ত্রাণ পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা। তবে তার ত্রাণ বিলি নিয়ে এই জাঁকজমক আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যখন সরকারের পক্ষ থেকেই বারবার আবেদন করা হচ্ছে জমায়েত না হওয়ার তখন জমায়েতে কীকরে প্রশ্রয় দিলেন শাসকদলের কাউন্সিলর? উত্তরে গুরুদাস বাবু বলেন, কোনও জমায়েত হয়নি।