দুর্গাপুর, 21 মার্চ : কোরোনা সতর্কতার জেরে দেশজুড়ে জনতা কারফিউয়ের আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন এক জায়গায় বহু মানুষের সমাগম রুখতে নানান প্রচার চালানো হচ্ছে, উলটো ছবি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় । হাজার হাজার কর্মী একসাথে কারখানায় একই সময়ে ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন ৷ কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সচেতনতা বা কর্মীদের এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে কোনও প্রচেষ্টাই নেই বলে অভিযোগ ঠিকাকর্মীদের । INTTUC ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয় ।
হাজারো কর্মী একসাথে ঢুকছেন-বেরোচ্ছেন, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় নেই কোরোনা সতর্কতা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন এক জায়গায় বহু মানুষের সমাগম রুখতে নানান প্রচার চালাচ্ছে । অন্যদিকে, কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সচেতনতা বা কর্মীদের এই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে কোনও প্রচেষ্টাই নেই বলে অভিযোগ ঠিকা কর্মীদের ।
এক জায়গায় যখন বহু মানুষের সমাগম রুখতে জোর প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, ঠিক তখন উলটো ছবি দেখা গেল রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় । সকালের শিফটে কয়েক হাজার ঠিকা ও স্থায়ী কর্মী কাজে যোগ দিতে যান প্রায় একই সঙ্গে একই সময়ে । কারখানার মূল গেটে প্রবেশের সময় তাঁদের CISF বাহিনীর চেকিংয়ের মুখে পড়তে হয় । সেখানেও ভিড়ের মুখোমুখি হন কর্মীরা । আবার, ঠিক একই ছবি দেখা যায় বিকেল 5টায় ৷ তখন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় । অথচ হাজার হাজার কর্মীর জন্য সচেতনতার কোনও বার্তাও কারখানার গেটে নেই । অভিযোগ, এক জায়গায় জমায়েত না হতে পারার কোনও কর্মসূচি ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি ৷ বিবেক সাহা , মাগারাম দত্ত নামের ঠিকা কর্মীদের অভিযোগ, কারখানায় আমাদের এখনও পর্যন্ত কোনও রকম মাস্ক, হাত ধোয়ার সাবান কিছুই দেওয়া হয়নি । আমরা কারখানার গেটে ঢোকা এবং বেরোনোর সময় হাজার হাজার কর্মী সমবেত হই । INTTUC দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু অংশ বলেন, " ঠিকা কর্মীদের কোনও রকম সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না । আমরা ইতিমধ্যেই কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি । কিন্তু তাঁরা আমাদের আবেদনে গুরুত্ব দেননি । এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলায় গোটা দেশে যখন সর্তকতা, তখন কারখানার কর্মীরা বিকেল 5টার সময় একসাথে জমায়েত করে বাড়ি ফিরছেন ৷ আমরা প্রতিবাদ করেছি ।"
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদ বন্ধু রায় ফোনে জানান, " আমরা গতকাল এই নিয়ে বৈঠক করেছি । প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টের GM কে বলা হয়েছে ৷ তাঁরা যেন অবিলম্বে শ্রমিকদের হাত ধোয়ার জন্য সাবান কিনে আনেন । সবাইকে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই আমরা জানি । আর কারখানার গেটে যাতে শ্রমিকরা একসাথে ঢোকা, বেরোনো না করেন তার জন্য মাইক লাগিয়ে প্রচারের কাজও শুরু হবে । শ্রমিকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি । "