তৃণমূলের সমালোচনায় সরব সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান), 21 জানুয়ারি: বাংলাকে অসুর মুক্ত করতে চান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Bengal BJP Chief Sukanta Majumdar) ৷ সেই কারণে শনিবার সকালে তিনি প্রার্থনাও করে এলেন দুর্গাপুরের (Durgapur) ভিড়িঙ্গী কালী মন্দিরে ৷ এদিন পশ্চিম বর্ধমানের এই শিল্পশহরে তিনি হাজির হয়েছিলেন বাংলায় বিজেপির কার্যকারিণী বৈঠকে যোগ দিতে ৷ সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে দুর্গাপুর থেকে বাইকে তিনি হাজির হন ওই কালী মন্দিরে ৷ পুজো দেন ৷ বেরিয়ে এসে জানান, এক সময় ভারতবর্ষের বিভিন্ন ঋষি মুনির যজ্ঞে বাধা দিত অসুর শক্তি । ঠিক তেমনই দেখা যাচ্ছে বাংলাতেও অসুর শক্তির উত্থান হয়েছে । তাই মায়ের কাছে তিনি প্রার্থনা করেছেন, যাতে বাংলা অসুর মুক্ত হয় ।
যেহেতু বিজেপির (BJP) রাজ্য পর্যায়ের শীর্ষস্তরের বৈঠক৷ তাই গেরুয়া শিবিরের অন্য হেভিওয়েট নেতারাও হাজির হয়েছেন দুর্গাপুরে ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন সুকান্তর পূর্বসূরী দিলীপ ঘোষও (BJP MP Dilip Ghosh) ৷ তিনি আবার পুজো দেন দুর্গাপুরের আড়া মন্দির ও কাঁকসার শিবমন্দিরে ৷ বিজেপির এই জাতীয় সহ-সভাপতি স্বাভাবিক ভাবেই সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনায় ৷ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাত অনেক লম্বা, আদালতের হাতও অনেক লম্বা ৷’’
দুর্গাপুরের একটি শিবমন্দিরে দিলীপ ঘোষ এদিকে শনিবার নিয়োগ দুর্নীতির (Bengal Recruitment Scam) তদন্তে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ৷ ধৃতের নাম কুন্তল ঘোষ ৷ তিনি হুগলিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (TMYC) সভাপতি ৷ স্বাভাবিক ভাবে এই নিয়ে হইচই পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার ৷ এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গের 10টা টপ চাকরির মধ্যে একটা টপ চাকরি দশ বছর ধরে করেছি । কলকাতায় দু’টো তো ছেড়ে দিন, আমার একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার ক্ষমতা নেই । আমার কেন ? বহু মানুষের নেই ।’’ এই তিনি আরও বলেন, ‘‘বাঙালি সততার সঙ্গে থাকতো, আত্মসম্মানে থাকতো, জ্ঞানের চর্চা হতো । এরা বাংলা ও বাঙালিকে কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, তা দেখার জন্য আমারা অপেক্ষায় আছি ।’’
দুর্গাপুরের একটি শিবমন্দিরে দিলীপ ঘোষ অন্যদিকে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্নীতির দিকে নজর আছে হাইকোর্ট সঠিক সময় সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে ও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে । যেমন যেমন তথ্য হাতে আসবে, তেমন তেমন ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এভাবে কলুষমুক্ত হবে সারা বাংলা । রাজ্যজুড়ে যেভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে, তাতে সরকারই এবার টেন্ডারে চলবে ।’’
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ