আসানসোল, 7 এপ্রিল:পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ার মাঝে দামোদর নদ । দুই জেলার প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষদের যোগাযোগের একমাত্র উপায় এই দামোদর নদের উপর নড়বড়ে বাঁশের সেতু । বর্ষাকালে সেটাও থাকে না । তখন ভরসা নৌকো । বাঁকুড়ার প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষদের রুজিরুটি থেকে শুরু করে হাসপাতাল সমস্ত ক্ষেত্রে ভরসা আসানসোল । ঘুরপথে প্রায় 40-50 কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় । তাই বাধ্য হয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার করতে হচ্ছে দুই জেলার মানুষকে (Bridge problem at Asansol)।
বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া বিধানসভার প্রায় 30টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, বার্নপুরে আসেন রুজিরুটির টানে । অনেক চাষি আসেন সবজি বিক্রি করতে (Asansol Bankura people travelling through unsafe bridge)। অনেকে আসেন দিনমজুর খাটতে । অনেকে আবার ইস্কো কারখানায় চাকরি করতে । অন্যদিকে ওই সমস্ত অঞ্চল থেকে বাঁকুড়া সদর শহর অনেক দূর । স্বভাবতই সরকারি হাসপাতালও অনেক দূরে । তুলনায় অনেকটাই কাছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল । সেখানেই চিকিৎসার জন্য ছুটে আসতে হয় বাঁকুড়ার প্রান্তিক এলাকার লোকজনদের । সেতু পেরোলেই 10 কিলোমিটারের মধ্যে পাওয়া যায় হাসপাতাল (unsafe bridge over Damodar river)।
আরও পড়ুন:Demand of Bridge : সেতু নেই, ঝুঁকি নিয়ে বাবলা নদী পার হয় ভরতপুর-বেলডাঙার মানুষ
এত গুরুত্বপূর্ণ একটা সেতু আজও স্থায়ী হয়নি । নড়বড়ে বাঁশের সেতু দিয়েই আসা-যাওয়া করতে হয় বাসিন্দাদের । দু‘চাকার সাইকেল, মোটরসাইকেল যাতায়াত করে সেতুর উপর দিয়ে । কিন্তু বড় গাড়ি যাতায়াত করতে পারে না । কেউ ও পারে অসুস্থ হলে রোগীকে খাটিয়াতে তুলে এই পারে এনে গাড়িতে ওঠাতে হয় ৷ 50 বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় মানুষ একটি পাকা সেতুর দাবি করছেন । কারণ ঘুরপথে ডিসেরগড় বা মেজিয়া দিয়ে আসানসোলে যেতে প্রায় 40 থেকে 50 কিলোমিটার দূরত্ব পড়ে ।