আসানসোল, 20 মার্চ : খনি গর্ভে দুর্ঘটনায় খনি শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার নরসমুদা কোলিয়ারিতে। মৃতের নাম শফিক খান(৫৭)। তিনি নরসমুদা কোলিয়ারির এক্সপ্লোসিভ ক্যারিয়ার ছিলেন। তার বাড়ি আসানসোল দক্ষিণ থানার ধেমোমেন এলাকায়। খনির কয়লা চাঙর তার উপর ধসে পড়লে, সেই কয়লা চাপা পড়েই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য খনি শ্রমিকরা জানান, আজ সকালের সিফটে কাজ করতে খনি গর্ভে নেমে ছিলেন মহম্মদ শফিক খান । দুপুরে খনির দেওয়ালে ডিনামাইট লাগানোর পর ব্লাস্টিং করানো হয়। সেই কাজে সহযোগী হিসেবে শফিক খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। খনিতে বিস্ফোরণের পরেই উপর থেকে কয়লার চাঙর ধসে পড়ে শফিক খানের উপর। কয়লার চাঙর চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় শফিক খানের। অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে খনি থেকে উপরে নিয়ে আসে। এই ঘটনার পরে খনি শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে খনি নিরাপত্তা নিয়ে। খনির মাইনিং সর্দার সমস্ত কিছু দেখার পরেই বিস্ফোরণের অনুমতি দেন। যদি কয়লার চাঙর নড়বড়ে ছিল, তাহলে সেখানে খনি শ্রমিকরা কেন দাঁড়িয়েছিল, তার ব্যাখ্যা মেলেনি।
খনি গর্ভে দুর্ঘটনা, শ্রমিকের মৃত্যু নরসমুদায়
খনি শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার নরসমুদা কোলিয়ারিতে ৷ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ইসিএল। শ্রমিক ইউনিয়ন গুলি মৃত খনি শ্রমিকের সন্তানকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইসিএলের নিয়ম অনুসারে যা ক্ষতিপূরণ হয় সবই দেওয়া হবে ওই খনি শ্রমিকের পরিবারকে।
এলাকায় স্থানীয় লোকজন
আরও পড়ুন-মেদিনীপুরের আপদ বিদায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেত্রীর
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ইসিএল। শ্রমিক ইউনিয়ন গুলি মৃত খনি শ্রমিকের সন্তানকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ইসিএলের নিয়ম অনুসারে যা ক্ষতিপূরণ হয় সবই দেওয়া হবে ওই খনি শ্রমিকের পরিবারকে।