কাঁকসা, ২৯ জুলাই : পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে রীতিমতো সিনেমার কায়দায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লুটত ৷ সোনার বার দেওয়ার নামে নকল সোনার বার দিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ৷ পরে এদেরই একটি টিম আবার পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে এসে ভয় দেখিয়ে সেই নকল সোনার বার সহ টাকা বাজেয়াপ্ত করত ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ অভিযান চালায় কাঁকসা থানার পুলিশ ৷ 12 জন অন্তঃরাজ্য নকল সোনা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কেজি সোনার রং চড়ানো পিতলের বার ও 47 টি সোনার রং করা পিতলের কাটিং পিস উদ্ধার হয়েছে ।
পুলিশ সেজে লুটত ব্যবসায়ীদের, গ্রেপ্তার 12 অন্তঃরাজ্য নকল সোনা পাচারকারী
12 জন অন্তঃরাজ্য নকল সোনা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল কাঁকসা থানার পুলিশ ৷ ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কেজি সোনার রং চড়ানো পিতলের বার ও 47 টি সোনার রং করা পিতলের কাটিং পিস উদ্ধার হয়েছে । এরা পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে কারবার চালাত ৷
দুটি গাড়িতে আসত পাচারকারীরা । প্রথমে একটি গাড়ি করে কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে যেত ৷ তাদের সোনার বার কম দামে বিক্রি করার প্রস্তাব দিত ৷ ওই ব্যবসায়ীরা রাজি হলেই তাঁকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কেনার জন্য ডাকা হত ৷ কিছুক্ষণ পরই পুলিশের স্টিকার লাগানো আর একটি গাড়ি সেখানে আসত ৷ পুলিশ সেজে ওই নকল সোনার বার সহ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করত ৷ থানা-পুলিশ, মামলার ভয় দেখানো হত ৷ কাজেই চুপ থাকত ব্যবসায়ীরা ৷ নিজেদের উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিত এই পাচারকারীরা । বলত, এগুলো সব পাচার হয়ে আসা সোনা ৷ তাই কম দামে দিতে পারে তারা ।
পুলিশ জেনেছে ধৃতরা স্বরূপনগর, পূর্বস্থলী, শ্যাওড়াফুলির বাসিন্দা ৷ পুলিশের দুটি নকল পরিচয়পত্রও পাওয়া যায় এদের কাছ থেকে ৷ বর্তমানে ধানবাদের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে এরা নকল সোনার কারবার করত । এই অন্তঃরাজ্য নকল সোনার পাচারকারীদের সঙ্গে দুর্গাপুরের এক ব্যক্তি জড়িত । তার খোঁজ চালাচ্ছে কাঁকসা থানার পুলিশ । এই চক্রে অন্য কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷