মায়াপুর, 25 জুন: 20 জুন রথযাত্রায় ধুমধাম করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা গিয়েছে মাসির বাড়ি ৷ মাসির বাড়িতে তিন ভাইবোনের আদরযত্নে কোনও খামতি তো রাখা যাবে না ৷ তাই তাদের জন্য বানানো হয়েছে ছাপান্ন ভোগ ৷ তবে নামে ছাপান্ন হলেও দেখা গিয়েছে পদ ছাড়িয়েছে একশোরও বেশিতে ৷ এমনই সাজো-সাজো রব দেখা গিয়েছে নদিয়ার মায়াপুরের ইসকনের রন্ধনশালায় ৷
28 জুন উলটো রথ ৷ ততদিন পর্যন্ত ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে শতাধিক পদে মহানন্দে খাওয়া দাওয়ায় দিন কাটাবেন ভগবান জগন্নাথদেব-সহ ভাই বলদেব ও বোন সুভদ্রা। তাদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এই কয়েকদিন থাকছে বিশেষ মেনু ৷ ভারতীয় থেকে পাশ্চাত্য, মহাপ্রভুর পাতে ঠাঁই পেয়েছে নানা রকম পদ ৷ কী নেই সেই মেনুতে? মহাপ্রভুর প্রিয় ফল কাঁঠাল-সহ অন্যান্য ফলমূল, শাক-সবজি, খিচুড়ি, মিষ্টি ডাল, পিঠে-পুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারি মিষ্টি। এখানেই শেষ নয়, তালিকায় রয়েছে পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, চাউমিনও ৷
দেশি-বিদেশি মেনুতে প্রায় জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাঁদের সহযোগীরা দিনভর দু'বেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত। এভাবেই উলটো রথ শুক্রবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারি পদ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে পুনরায় নিজের গন্তব্য রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন মহাপ্রভু। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত সম্প্রীতির এই রথযাত্রা উৎসবে, হিন্দু ও মুসলমান সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে ইসকনের গুণ্ডিচা মন্দিরকে ঘিরে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।