নবদ্বীপ, 1 জুন : পর্যটকেরাই তাঁদের ব্য়বসার লক্ষ্মী ৷ লকডাউনের জেরে গত দু'মাসের বেশি সময় ধরে দেখা নেই সেই পর্যটকদেরই । দু'মাস ধরে বন্ধ দোকান। সম্প্রতি দোকান খোলায় ছাড় মিললেও ক্রেতা নেই ৷ কারণ ভক্ত তথা পর্যটকশূন্য নবদ্বীপ-মায়াপুর ৷ ইসকন-সহ নবদ্বীপ-মায়াপুরের ছোটো বড় এক হাজারের বেশি মন্দির এখনও বন্ধ রয়েছে ৷ স্তব্ধ যোগযোগ ব্যবস্থাও ৷ মন্দিরগুলি খুললেই কি আগের মতো পর্যটকদের ভিড় হবে? দেশ ও রাজ্যজুড়ে বাড়ন্ত সংক্রমণের আবহাওয়ায় সেই বিষয়েও নিশ্চিত নন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৷ আয়হীন অবস্থায় কোনও রকমে দু'মাস সংসার টানার পর বাস্তবিক অসহায় বোধ করছেন মায়াপুরের ইসকন মন্দির সংলগ্ল রাস্তার ফুটপাতের দোকানদাররাও ৷ স্থানীয় শ'তিনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন ৷
বলা বাহুল্য, ইসকন মন্দির দর্শনের জন্য শুধুমাত্র এই রাজ্যই নয়, দেশ পেরিয়ে বিদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য ভক্ত আসেন। কিন্তু, লকডাউনের বাজারে তা অলীক কল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, নদিয়া জেলায় শুধুমাত্র ইসকন মন্দিরের আকর্ষণেই মানুষ আসেন না ৷ এখানে রয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভিটাও।
এই নবদ্বীপ-মায়াপুরে কারও শাঁখা-সিঁদুর-শঙ্খের দোকান, কেউ বিক্রি করেন নানা রকমের মালা,কারও আবার কাপড়ের দোকান, জুতোর দোকান । অনেকের পাকাপোক্ত দোকানও নেই, ফুটপাতেই বসতেন ৷ নবদ্বীপ-মায়াপুরে ভক্ত সমাগমে সংসার চলে যেত ভালো-মন্দে ৷ কিন্তু, কোরোনা আবহে ওলটপালট হয়ে গিয়েছে সব ৷ যদিও সম্প্রতি শিথিল হয়েছে লকডাউন ৷ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়৷ তারপরও আশঙ্কা কাটছে না স্থানীয় ব্যবসায়ীদের । সংক্রমণের ভয়ে আগের মতো আর ব্যবসা হবে না । মনে করছেন বেশিরভাগজন ।