শান্তিপুর, 12 মার্চ: ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়! আরও একবার এই শব্দটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এক বাঙালি গৃহবধূ। সংসারের শত বাধা পেরিয়ে নিজের ছেলের সঙ্গেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছেন বছর আটত্রিশের লতিকা মণ্ডল (Mother Appears for Higher Secondary Exam Along with Son)। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
নদিয়ার শান্তিপুর থানার নৃর্সিংহপুর সর্দারপাড়ার বাসিন্দা লতিকা মণ্ডল। প্রায় 19 বছর আগে বিয়ে হয় লতিকা মণ্ডলের। লতিকার বাপের বাড়ি নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া থানা এলাকায়। বিয়ের আগে থেকেই পড়াশোনার প্রতি তীব্র আগ্রহ ছিল ওই তাঁর। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় উপায় হয়ে ওঠে না নানা কারণে। ঠিক সেই রকমই একদিকে আর্থিক অনটন অন্যদিকে মা'র শারীরিক অসুস্থতার কারণে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও তারপরে আর তা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। এরপর আর্থিক অনটনের কথা মাথায় রেখেই লতিকা মণ্ডলকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর পরিবার।
ঠিক সেই মতো শান্তিপুরের সর্দারপাড়ায় এক যুবকের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর স্বামী কাজের সুবাদে ভিন রাজ্যে থাকেন। বর্তমানে লতিকার দুই সন্তান রয়েছে। একটি পুত্র সন্তান এবং একটি কন্যা সন্তান। তাঁর মেয়ে রানি মণ্ডল শান্তিপুর কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর ছেলে সৌরভ মণ্ডল বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। এবার সে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে। মেয়েকে পড়াতেন তিনিই ৷ তখন নতুন করে পড়াশোনার আগ্রহ জাগে তাঁর। পুরনো ইচ্ছা জেগে উঠতে শুরু করে গৃহবধূর।