রানাঘাট ও পুরুলিয়া, 29 অগস্ট: দুঃসাহসিক ডাকাতি । একই সময়ে একই গয়না সংস্থার দুটি শো-রুমে চলল সোনা ও হীরের গয়না লুট । দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত ও দিশেহারা পরিস্থিতি । মঙ্গলবার রানাঘাটে গয়নার শোরুমে বন্দুক দেখিয়ে কর্মীদের মারধর এবং কোটি কোটি টাকা সোনার গয়না লুটের অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই দুষ্কৃতীদের ৷ এই ঘটনায় জড়িত 8 দুষ্কৃতীদের মধ্যে পুলিশের জালে 4 জন ৷ একই ঘটনা ঘটেছে পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়া এলাকায় ৷ এদিন 7 জনের একটি দুষ্কৃতী দল নামকরা গয়নার শোরুমে গ্রাহক সেজে ঢুকে হামলা চালায় । নিরাপত্তারক্ষী এবং শোরুমের কর্মীদের বেঁধে রেখে সোনা,হীরের গয়না নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ ।
এই বিষয়ে সোনার দোকানের কর্মরত এক কর্মী বলেন, "আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। প্রথমে ওরা এক এক করে শোরুমে ঢোকে। দুষ্কৃতীদের ব্যাগে এবং পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আগ্নেয়াস্ত্র বের করে প্রথমে আমাকে মারধর করে। এরপর সকল কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে তারা লুটপাট চালায়।"
ঘটনাস্থলে পৌঁছন রানাঘাট পুরসভার পুরপ্রধান কুশল দেব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "আমার ঘটনাস্থলের পাশেই একটি অনুষ্ঠান ছিল। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসি। এতবড় ঘটনা আগে ঘটেনি ৷ আমরা চাই বাকি দুষ্কৃতী যারা ধরা পড়েনি তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে প্রশাসন গ্রেফতার করুক।"
ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলনে রানাঘাট জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নানকে পাশে নিয়ে ডিআইজি রশিদ মুনির খান বলেন, "এই ঘটনায় মোট আটজনের একটি টিম ছিল ৷ এরা প্রত্যেকে বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় একজন বিহারি প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। তারপর দুষ্কৃতি টিম বিহার থেকে আসে ৷ আজ আনুমানিক তিনটে নাগাদ তারা ক্রেতা সেজে শোরুমে প্রবেশ করে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। খবর পেয়ে কুড়ি মিনিটের মধ্যে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদেরকে তাড়া করে আমাদের পুলিশও ফায়ারিং করে ৷ দু'জনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের কাছ থেকে মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৷ 22 রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু অবৈধ বাইকের নম্বর প্লেট এবং আধার কার্ড উদ্ধার করা গিয়েছে ৷ চার দুষ্কৃতিকে আগামিকাল রানাঘাট মহাকুমা আদালতে তোলা হবে ৷" দুষ্কৃতীদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে ৷