শান্তিপুর, 19 জুলাই : নদিয়ার শান্তিপুর তাঁত শিল্পের পাশাপাশি ঘি শিল্পের জন্য বিখ্যাত ৷ এখান থেকে ঘি অন্যান্য জেলায় যায় ৷ কিন্তু লকডাউনের কারণে ঘি ব্যবসায় ভাটা পড়েছে ৷ ব্যবসায়ীদের উপার্জন কমেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা ৷
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্চের শেষে লকডাউন ঘোষিত হয় ৷ প্রায় চার মাস ধরে চলা লকডাউনে দেশের পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনীতিও থমকে দাঁড়িয়েছে ৷ লকডাউনের প্রভাব পড়েছে ফুলিয়ার ঘি শিল্পেও ৷ আর্থিক সংকটের কারণে বাজারে ঘি-এর চাহিদা ধীরে ধীরে কমছে ৷ পাশাপাশি যানবাহন পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকায় ঘি বাজারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ৷ লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলায় ঘি বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ সড়কপথে পুলিশের ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা ৷ এই অবস্থায় ঘি তৈরি হলেও পড়ে থাকছে ৷ ফুলিয়ায় ঘি তৈরির জন্য দুধ ও ক্রিম আসে জেলার করিমপুর ও মুর্শিদাবাদের মতো অন্যান্য জেলা থেকে ৷ লকডাউনের জন্য সেসব আসতে সমস্যা হচ্ছে ৷ ফলে, ঘি তৈরির প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে ঘাটতি পড়েছে ৷
শান্তিপুরের ঘি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় 100 জন ব্যবসায়ী ৷ এর পাশাপাশি প্রায় এক লাখ মানুষ এই শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত ৷ একেক জন ব্যবসায়ীর অধীনে 10-15 জন কর্মচারী কাজ করেন ৷ তাঁদের কেউ ছয় থেকে সাত হাজার টাকা বেতন পান ৷ আবার কেউ 300 থেকে সাড়ে 300 টাকার দিনমজুরিতে কাজ করেন ৷ তবে পরিস্থিতি খারাপ হলেও কর্মচারীদের চাঁটাই করছেন না অনেক ব্যবসায়ী ৷ বেতনে কাটছাঁট করছেন অবশ্য ৷ অনেকে আবার কাজ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ৷ এই অবস্থায় বেশ চিন্তায় রয়েছেন কর্মচারীরা ৷