কল্যাণী, 25 জুলাই : ঝোপের মধ্যে মিলল নিখোঁজ কিশোরীর পচাগলা দেহ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া গয়েশপুর পৌরসভার এলাকায় । শনিবার গয়েশপুর পৌর এলাকার 8 নম্বর ওয়ার্ডের কবর স্থানের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।
মৃত কিশোরীর নাম সোমা সাহা, বয়স 17 বছর ৷ ইন্ডিয়ান গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে ৷ বাবা উত্তম সাহা । পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত 21 জুলাই থেকে সে নিখোঁজ ছিল । তার বাবা ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকা দেহটি তার মেয়ের বলে শনাক্ত করেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ক'টি কাগজ জেরক্স করার নাম করে বাজারে গিয়েছিল সোমা ৷ তিনি সেই দোকানে মেয়ের খোঁজে গিয়েছিলেন ৷ দোকানদার জানিয়েছিল যে সে দোকানে এসেছিল ৷ তবে তিনি সন্দেহ করছেন তার মেয়ের এই খুন প্রেম-ঘটিত কারণে ৷
আরও পড়ুন : বাদুড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংঙ্ক থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, "মেয়ের সঙ্গে যার প্রেম ছিল ৷ তার বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু তাও ওর পেছন ছাড়েনি ৷ ওর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল ৷ ছেলেটির নাম সুদীপ্ত দাস ৷" তাঁর অভিযোগ, সোমার বান্ধবী অর্পিতার কথায় বেরিয়েছিল তাঁর মেয়ে ৷ সুদীপ্ত এই কাজ করেছে বলে দৃঢ় ধারণা উত্তম সাহার ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সুদীপ্তর শাস্তি চাই ৷ ওর যেন ফাঁসি হয় ৷" তিনি জানিয়েছেন, শুধু তিনি নয়, সবাই এই ঘটনায় সুদীপ্তর কথা বলছে ৷ এমনকি গত বছর নভেম্বর মাসে ওই ছেলেটির জন্য হাত কাটে সোমা ৷ 18টি সেলাই করতে হয়েছে বলে জানালেন বাবা ৷ সোমার মা মিতালী সাহার বক্তব্য, বাবা উত্তম সাহা মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছিল ৷ ছোট থেকে মেয়ে তাঁর কাছেই থাকত ৷ মেয়ের প্রণয়-ঘটিত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন সোমার মা ৷
শনিবার এলাকা থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হতেই সন্দেহ হয় পথ চলতি মানুষের । পরে কল্যাণী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য । তবে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে । এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।