বেলডাঙা, 30 জুলাই : দিনটা মঙ্গলবার । কোনও সরকারি ছুটির দিনও না । কাজেই, রুটিনমাফিক স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন পরিদর্শক । কিন্তু, স্কুলে সামনে গাড়ি থামতেই তাজ্জব পরিদর্শক স্বয়ং । স্কুলের মূল ফটকে ঝুলছে মস্ত একটা তালা!
কিন্তু কেন?
বেলডাঙা, 30 জুলাই : দিনটা মঙ্গলবার । কোনও সরকারি ছুটির দিনও না । কাজেই, রুটিনমাফিক স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন পরিদর্শক । কিন্তু, স্কুলে সামনে গাড়ি থামতেই তাজ্জব পরিদর্শক স্বয়ং । স্কুলের মূল ফটকে ঝুলছে মস্ত একটা তালা!
কিন্তু কেন?
অনেক হাঁকডাকের পরও কাউকে না পেয়ে সরাসরি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককেই ফোন করে ফেললেন পরিদর্শক অমৃতা বিশ্বাস । প্রধান শিক্ষক না থাকায় আপাতত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম । কিন্তু, তাঁর উত্তর শুনে রীতিমতো অবাক অমৃতা । জাকিরুল জানালেন, স্কুলের এক শিক্ষকের বিয়ে । আর তাই ছুটি দেওয়া হয়েছে । যদিও আগাম ছুটির বিষয়ে পর্যবেক্ষকের কাছে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি বলেই খবর ।
আগাম কোনও অনুমতি না নিয়ে এভাবে ছুটি দেওয়া যায় নাকি? পরিদর্শকের প্রশ্ন শুনে আমতা আমতা করে কিছু বলার চেষ্টাও করেছেন প্রধান শিক্ষক । কিন্তু, ততক্ষণে যা হওয়ায় হয়ে গেছে । রাগে গজগজ করতে করতে গাড়িতে উঠে পড়েন পরিদর্শক । এভাবে বিনা নোটিশে ছুটি ঘোষণার কারণ দর্শাতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । দপ্তর সূত্রে খবর, একদিনের বেতন কাটা হতে পারে সব শিক্ষকদের । বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ।
যদিও আজকের পরিস্থিতি নিয়ে সাফাই দিতেই পিছপা হননি জাকিরুল ইসলাম । তিনি দাবি, সকালে স্কুল খোলাই ছিল । ক্লাসও হয়েছে । উপস্থিত ছিলেন বেশিরভাগ শিক্ষকই । তবে, পড়ুয়া আর অভিভাবকদের দাবি, কোনও ক্লাস হয়নি । মাস্টারমশাইরা কেবল হাজিরার খাতায় সই করে চলে যান ।