বহরমপুর, 20 নভেম্বর: অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যু সংবাদে (Aindrila Sharma Death) শোকস্তব্ধ বহরমপুরবাসী (Residents of Berhampore) ৷ ভাষা হারিয়েছেন তাঁর কাছের মানুষরা ৷ স্কুলের বন্ধু, শিক্ষক-শিক্ষিকা, নাচের গুরু থেকে শুরু করে পাড়াপড়শি, ঘরের মেয়ের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই ৷
ঐন্দ্রিলার ছোটবেলা কেটে ছিল মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরেই ৷ এখানকার স্কুল পড়তেন তিনি ৷ নাচে হাতেখড়িও হয় এই শহরের নৃত্যগুরুদের হাত ধরে ৷ তাঁদের সকলের মনে হয়েছিল, প্রকৃত অর্থেই ঐন্দ্রিলা যেন ফিনিক্স পাখি ! বারবার তাঁর সামনে নতজানু হয়েছে মৃত্যু ৷ তাই এবারও হয়তো শেষ হাসি হাসবেন ফাইটার ঐন্দ্রিলাই ৷ বিশেষ করে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য যখন জেলারই ছেলে গায়ক অরিজিৎ সিং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তখন সকলেই নতুন করে বিশ্বাসে বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন ৷ অনেকেই বলছিলেন, অরিজিৎ বুঝি সেই দেবদূত, যাঁর হাত ধরে আবারও জীবনে ফিরবেন ঐন্দ্রিলা ৷ কিন্তু, বাস্তব বড়ই কঠিন ৷ তার রুক্ষতা কখনও কখনও সহ্যাতীত কর্কশ ৷ এখন সেই ভয়াল বাস্তবেরই মুখোমুখি বহরমপুরের সেইসব মানুষ, যাঁরা ঐন্দ্রিলাকে বড় হতে দেখেছিলেন তাঁদের চোখের সামনে ৷ ডানা মেলতে দেখেছিলেন আকাশ ছোঁয়া এক স্বপ্নকে ৷ যে স্বপ্ন পাথেয় করেই বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েও লড়াই শেষে উঠে দাঁড়াতেন ঐন্দ্রিলা ৷ আজ অবশ্য সেসবই অতীত ৷
আরও পড়ুন:শেষ জীবন যুদ্ধ ! প্রয়াত ঐন্দ্রিলা শর্মা
প্রিয় ছাত্রীর সুস্থতা কামনা করে মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার নৃত্যগুরু অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য্য ৷ সর্বক্ষণ মেয়েটার মঙ্গলকামনা করছিলেন তিনি ৷ সব প্রার্থনাই আজ বিফলে গেল ৷ রবিবার ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিজ্ঞান ৷ বুজে আসা গলায় বললেন, " জানেন, এমনটা হবে ভাবিনি ৷ আজ বোধহয় আমার জীবনের সবথেকে কঠিন সময় ৷ আমার হাত ধরে যে মেয়ে নাচ শুরু করেছিল, মানুষের মন জয় করেছিল, আজ আর সে নেই ৷ তাকে এভাবে হারাতে হল আমাদের ৷"