পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Blast In Duttapukur: বিস্ফোরণে ছেলের মৃতদেহ টিভিতে দেখলেন মা! পরিবারের 5 সদস্যকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ আনকরি বিবি - বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ

দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোচপোল এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত মহিলা-সহ কমপক্ষে 9 ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে ৷ এই বিস্ফোরণে দুই ছেলে সহ পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন আনকরি বিবি ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 28, 2023, 2:18 PM IST

সুতি (মুর্শিদাবাদ), 28 অগস্ট: মা জানতেন দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজে বাইরে গিয়েছে । পনেরো দিন আগে টাকা চেয়ে ফোন করেছিলেন ৷ কিন্তু তখন টাকা দিতে পারেনি দুই ছেলে । বলেছিল এখনও টাকা পায়নি । রবিবার টিভির পর্দায় বড় ছেলের ঝলসে যাওয়া ছবি দেখেই চিনতে পারেন মা আনকরি বিবি । হাফ প্যান্ট পরা ছোট ছেলেকে তখনও চিনতে পারেননি ।

দত্তপুকুর বাজি কারখানা বিস্ফোরণে দুই ছেলে সহ পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন আনকরি বিবি । ছেলেদের টাকার লোভ দেখিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজে দেবে বলে বাজি কারখানায় নিয়ে যান গ্রামেরই বাসিন্দা মোহন শেখ । এমনটাই দাবি আনকরি বিবির । যদিও মোহন শেখ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পেশায় মাংস বিক্রেতা মোহন শেখের পালটা অভিযোগ, প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমা বিস্ফোরণে জড়িত আনকরি বিবির দেওর ঈশা শেখ । ঈশা শেখ এখন ওড়িষায় জেল বন্দি। সেই মামলার অন্যতম সাক্ষী মোহন শেখ। বদলা নিতেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ।

এখানেই শেষ নয় ৷ এই বিস্ফোরণ সামনে এনেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, আনকরি বিবির স্বামী জেরাদ শেখ এর আগে পিংলার বাজি কারখানায় কাজ করত ৷ এই কারখানার বিস্ফোরণের পর সে কিছুদিন জেলে বন্দি থাকেন ৷ সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে একটি কাপড়ের দোকান করেন ৷ কিছুদিন পর আবারও ওই ব্যাক্তি দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় যান ৷ দত্তপুকুর বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ন’জনের । তারমধ্যে একজন নাবালক-সহ ছ’জন সুতির নতিন চাঁদড়া গ্রামের বাসিন্দা । মৃতরা হলেন আন্দাজ শেখ (20) ও ছোটন শেখ(18) আনকরি বিবির দুই ছেলে । এছাড়াও ওই পরিবারের রনি শেখ(20), সুজন শেখ(22) ও হাবিব শেখের(40) মৃত্যু হয়েছে ।

আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, এদিক ওদিক ছিটকে দেহাংশ! এখনও পর্যন্ত 7 জনের মৃত্যু

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসিক বেতনের ভিত্তিতেই তাদের নয় মাসের জন্য বাজি কারখানার কাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । মাস মাইনে ছিল ১৮-২০ হাজার টাকা। যদিও পরিবারের দাবি, তারা জানত বাজি কারখানা নয় রাজমিস্ত্রীর কাজেই তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । গ্রামের কতজন লোক ওই কারখানায় কাজ করত তার সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি । তবে ওই গ্রামের আরও চারজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details