Text Book controversy: বেসরকারি স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ‘আমরা-ওরা’, ধর্মীয় বিভাজনের অভিযোগ

বেসরকারি স্কুলের পাঠ্যবইতে ধর্মী বিভাজনকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ৷ মুর্শিদাবাদের সালারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ৷ অভিযোগ বেসরকারি ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পাঠ্যবইয়ের একটি পাতায় ঈদ এবং গণেশ চতুর্থী নিয়ে এই ধর্মীয় বিভাজন করা হয়েছে ৷

সালার (মুর্শিদাবাদ), 28 সেপ্টেম্বর : ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ বারে বারে উঠে আসে রাজ্য তথা দেশের একাধিক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ৷ তাই বলে শিশু মনেও বিভাজনের বীজ বোনার চেষ্টা ? পড়ুয়াদের পাঠ্যবইয়েও এবার সেই আমরা-ওরা ভেদাভেদের উপমা ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনা মুর্শিদাবাদের সালারের এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ৷ অভিযোগ, ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ধর্মীয় বিভাজন এবং আমরা-ওরার উপমা ব্যবহার করা হয়েছে ৷

পাঠ্যবইটির ওই বিশেষ অংশের ছবিই এখন মুর্শিদাবাদের প্রায় প্রতিটি মানুষের মোবাইল ফোনে ঘুরছে ৷ যা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে নেটপাড়ায় ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা ৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যরা ৷ পরিচালন কমিটির সম্পাদক এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থার পাঠ্যবইয়ের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকে না ৷ তবুও, বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন ৷

প্রসঙ্গত, ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণি এক ছাত্রীর বাবা তাঁকে পড়াচ্ছিলেন ৷ মেয়ের বইয়ের পাতা উল্টাতে গিয়ে বিশেষ ওই অংশটিতে তাঁর নজর পড়ে ৷ তাঁর দাবি অনুযায়ী, বইয়ের উপরে দিকে লেখা রয়েছে, ‘‘ঈদ-উল-ফিতর ৷ এই সময় মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাস পালন করেন ৷ রমজান মাসের পর ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয় ৷ আর ঠিক তার নিচে লেখা গণেশ চতুর্থী ৷ গণেশ চতুর্থী আমরা পালন করি ৷’’ বইয়ের সেই অংশের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ওই অভিভাবক ৷ সেই সঙ্গে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এর জবাবদিহি চান ৷

এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ওই পোস্টটি শেয়ার হয় ৷ শিশুদের পাঠ্যবইয়ে কেন থাকবে আমারা-ওরা বিভেদ ? এই নিয়ে প্রকাশনা সংস্থা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে জানিয়েছেন নেট নাগরিকরা ৷ এ নিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁর তরফে কোনও জবাব মেলেনি ৷