তৃণমূল নেতা খুনে দুঃখপ্রকাশ অধীরের বহরমপুর, 8 জানুয়ারি: তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী খুনে এখনও অধরা আততায়ীরা । ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজন আততায়ীকে সনাক্ত করেছে পুলিশ ৷ আততায়ীদের ধরতে রবিবার বিকেল থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। ঘটনার একদিন পরও আততায়ীরা গ্রেফতার না-হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আততায়ীরা এলাকায় ভাড়া এসেছিল ৷ তাই তাদের সম্পর্কিত তথ্য থানায় নথিবদ্ধ নেই ৷ এখনও পর্যন্ত খুনের মোটিভ নিয়েও ধোঁয়াশা দূর হয়নি পুলিশের। রাজনৈতিক কারণ এবং ব্যবসায়ীক কারণে খুন তা এখনও জানা যায়নি । আততায়ীদের ধরতে না-পারায় সত্যেন চৌধুরীর অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এলাকার মানুষের কাছে কার্যত মসিহা হিসাবেই ছিলেন । রবিবার রাতে ময়নাতদন্তের পর প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ মরদেহ আনতে সামিল হয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ আততায়ীদের গ্রেফতার করে দ্রুত খুনের কিনারা করুক। সত্যেন ঘনিষ্ঠ যুগল হালদার বলেন, "প্রকাশ্যে এভাবে খুনের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। এখনও পুলিশ তার কিনারা করতে পারল না।"
তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করে অধীর চৌধুরী বলেন, "আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল । তবে প্রায় কুড়ি বছর হল অন্য দলে ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ তাই সম্পর্কে ছেদ পড়েছিল । সত্যেনের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। বহরমপুরে ফের খুন হতে শুরু করায় আমি উদ্বিগ্ন। পুলিশকে বলব খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।"
রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ নিজেরই নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাটে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী । একটি মোটর বাইকে তিন দুষ্কৃতী এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁর বুকে, মাথায় ও গলায় গুলি করে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ দুস্কৃতীরা খুনের পর ওই রাস্তা দিয়েই সকলের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায় । সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে। দুস্কৃতীদের মুখ ঢাকা না থাকায় তাদের চিহ্নিতো করা হয়েছে। পুলিসের অনুমাম ভাড়াটিয়া খুনি দিয়েই খুন করানো হয়েছে। তবে ঘটনার পিছনে কার হাত রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় ।
আরও পড়ুন:
- নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির
- নির্দল প্রার্থী থেকে সোজা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান! নিহত শাসক-নেতা রূপচাঁদের জীবন যেন বলিউডি থ্রিলার
- জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার আরও এক, 10 দিনের পুলিশি হেফাজত অভিযুক্তের