মালদা, 12 অক্টোবর: পরকীয়ার জেরে প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল 1 নম্বর ব্লকের শংকরটোলা গ্রামে ৷ বৃহস্পতিবার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ ৷ আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত স্ত্রীকে ৷ তবে প্রেমিক পলাতক ৷ তার খোঁজে পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন পরিবারের লোকজন-সহ গ্রামবাসীরা ৷
মৃতের নাম নারায়ণ দাস ৷ বয়স 35 বছর ৷ পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন তিনি ৷ বছরের বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে কাজ করতেন ৷ বছর ছয়েক আগে এলাকারই যুবতি পবিত্রা দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ৷ তাঁদের ছোট দুই ছেলেমেয়েও রয়েছে ৷ পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, নারায়ণ ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার সময়ই বছর তিনেক আগে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পবিত্রার ৷ সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা পায় ৷ স্বামী বাড়িতে না থাকলে ওই যুবক প্রায়শই পবিত্রার সঙ্গে রাত কাটাত ৷ এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত ৷ কিছুদিন আগে মুম্বই থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন নারায়ণ ৷ গতকাল তিনি অসুস্থ বোনকে ডাক্তার দেখাতে মালদা শহরে গিয়েছিলেন ৷ সেই সুযোগ নিয়ে প্রেমিক যুবকও পবিত্রার ঘরে আসে ৷ রাত আটটা নাগাদ নারায়ণ মালদা থেকে বাড়ি ফেরেন ৷ তখনও ঘরে ছিল তাঁর স্ত্রীর প্রেমিক ৷
তাকে দেখে ফেলেন নারায়ণ ৷ অভিযোগ, এরপরেই পবিত্রা ও তাঁর প্রেমিক নারায়ণকে ধরে ফেলে ৷ তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারেন তার ব্যবস্থা করে ৷ দু'জন মিলে নারায়ণকে খুন করে দেহ শোবার ঘরের বাইরে ঝুলিয়ে দেয় ৷ সনাতনের চোখ সূঁচ দিয়ে ফুটো করে দেওয়া হয় ৷ এদিন সকালে পবিত্রাই নারায়ণের ঝুলন্ত দেহের কথা তাঁর পাশের বাড়ির বউদিকে জানান ৷ এরপরেই ঘটনাটি জানতে পারেন গ্রামবাসীরা ৷ পবিত্রাকে আটক করে তাঁরা চাঁচল থানায় খবর দেন ৷ বেলার দিকে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি পবিত্রাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ৷
আরও পড়ুন : পণের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা ! পলাতক স্বামী-সহ পরিবার