মালদা, 30 অক্টোবর: 50 ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে ৷ তার মধ্যেই টি-টুয়েন্টির ধাঁচে ব্যাটিং শুরু করেছে পেঁয়াজ ৷ সোমবার মালদার বাজারে পেঁয়াজ বিকিয়েছে 70 টাকা কিলো দরে ৷ খুচরো ব্যবসায়ীদের আশংকা, খুব তাড়াতাড়ি এই দর কমার সম্ভাবনা নেই ৷ পেঁয়াজ উৎপাদক রাজ্যগুলিতে অতিবৃষ্টির জন্যই এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক ৷ এক ধাক্কায় চারগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রফতানি শুল্ক ৷
এতে দেশীয় পেঁয়াজ বিদেশে রফতানির হার অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ সেই পেঁয়াজ দেশীয় বাজারে নামলেই স্বস্তি পাবে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি ৷ তেমনটাই ভাবনা কেন্দ্রের ৷ গতকালই বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷
ভারতীয় পেঁয়াজের অন্যতম আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ ৷ পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য পেঁয়াজ ভর্তি লরি বাংলাদেশে যায় ৷ মহদিপুর স্থল বাণিজ্য বন্দর দিয়েও প্রতিদিন একশোর বেশি লরি বাংলাদেশে পেঁয়াজ খালি করে আসে বলে জানালেন মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রসেনজিৎ ঘোষ ৷
আরও পড়ুন:'দু'চার মাস পেঁয়াজ না খেলে কিছু যাবে আসবে না', মন্তব্য মহারাষ্ট্রের বিজেপি মন্ত্রীর
তিনি বলেন, “আগে প্রতি এক টন পেঁয়াজ রফতানির জন্য প্রায় দুশো ডলার রফতানি শুল্ক দিতে হত ৷ গতকাল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক সেই শুল্কের পরিমাণ 800 ডলার করেছে ৷ শুল্ক বৃদ্ধির জন্য রফতানি ব্যবসায় অবশ্য প্রভাব পড়বে ৷ বিশেষত ছোট ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৷ আমাদের মনে হয়, খুব বেশিদিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়নি ৷ দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এলে কেন্দ্র নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে ভাববে ৷ এই মুহূর্তে মহদিপুরে কয়েকশো পেঁয়াজ ভর্তি লরি দাঁড়িয়ে রয়েছে ৷ এই নির্দেশিকা জারির পর অনেক লরি পোর্ট থেকে চলে যাচ্ছে ৷ আবার কিছু রফতানিকারক নতুন করে লেটার অফ ক্রেডিটের (LC) জন্য আবেদন জানাচ্ছেন ৷”
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র রাজেশ আগরওয়ালা জানাচ্ছেন, “শুল্ক এক ধাক্কায় এতটা বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব নিশ্চিতভাবেই পেঁয়াজের রফতানি ব্যবসার উপর পড়বে ৷ কোনও দেশই এত চড়া দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে চাইবে না ৷ তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রিত হবে ৷ গরিব, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবে ৷”