মালদা, 4 জুলাই: ভোটের বাকি আর মাত্র চারদিন ৷ এখনও ঘরের কোন্দল থামছে না তৃণমূল শিবিরে ৷ স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ৷ আর স্বামী প্রচার করছেন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে ৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের 16 নম্বর বুথে ৷ ডিলিমিটেশনের পর এবার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের 16 নম্বর আসনটি দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে ৷ একটি অংশে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন রোকেয়া খাতুন ৷ অন্য অংশের ঘাসফুল প্রার্থী প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য জিসান আলি ৷ দুই প্রার্থীই নিজেদের সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছেন ৷ তবে রোকেয়ার নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায়নি তাঁর স্বামী সাহাদাত হোসেনকে ৷ উলটে তাঁকে ওই বুথের অন্য অংশের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা তথা নির্দল প্রার্থী সরফরাজ নওয়াজের সমর্থনে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে ৷
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সাহাদাতের বক্তব্য, মমতাদি তাঁর স্ত্রীকে তৃণমূলের প্রার্থী করেছেন ৷ তিনি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ ৷ কিন্তু তিনি স্ত্রীর হয়ে প্রচারে বেরোননি ৷ কারণ, এর আগে বুথে গোলমাল হয়েছিল ৷ তবে তিনি যে অন্য বুথে নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করছি, সেকথা ঠিক ৷ কারণ, ওই বুথে যাঁকে তাঁরা তৃণমূলের পক্ষে মনোনয়ন জমা করিয়েছিলেন, দল তাঁকে টিকিট দেয়নি ৷ আগের পঞ্চায়েত সদস্যকে টিকিট দিয়েছে ৷ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের পাশে মানুষ নেই ৷
তাছাড়া যিনি বটগাছ প্রতীকে নির্দল হিসাবে লড়ছেন, তিনিও তৃণমূলের ৷ ঘাসফুলের প্রতীক না পেয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে তিনি নির্দল হিসাবে ভোটে লড়ছেন ৷ তিনি বলেন, "আমি কিন্তু প্রথমে তাঁর সমর্থনে প্রচার করিনি ৷ কিন্তু যখন দেখলাম, ওই বুথের তৃণমূল প্রার্থী আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছেন, মই চিহ্নের প্রচার করছেন, তখন ক্ষোভে আমি বটগাছের পক্ষে প্রচার শুরু করি ৷ আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ প্রচার করলে আমাকেও তো সেটাই করতে হবে ৷"