মালদা, 13 এপ্রিল : উত্তর মালদার কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খানের সমর্থনে নির্বাচনী সভা বন্ধ করা সহ একাধিক হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে রতুয়া থানার পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত পুলিশ অবজ়ারভারের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
ইশা খানের সমর্থনে আজ হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় নির্বাচনী সভা করতে আসেন কংগ্রেস নেত্রী নাগমা উত্তর মালদার কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খানের সমর্থনে আজ হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় নির্বাচনী সভা করতে আসেন কংগ্রেস সর্বভারতীয় নেত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী নাগমা। তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে দুটি সভাতেই। হরিশ্চন্দ্রপুরের সভার পরে তিনি রতুয়ায় পাকুরতলা মাঠে সভা করতে যান। অন্যদিকে, রতুয়ায় কংগ্রেসের সভামঞ্চ থেকে সামান্য দূরে তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুরের সমর্থনে নির্বাচনী সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন। অভিযোগ, রতুয়ায় কংগ্রেসের নির্বাচনী সভা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এমন কী কংগ্রেসের সভামঞ্চ ভাঙচুর সহ কংগ্রেস নেতৃত্বকে মারধরের হুমকিও দেওয়া হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে কংগ্রেসের নির্বাচনী সভা শেষ হয়।
আজ সভামঞ্চ থেকে মৌসম ও নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন নাগমা। তিনি বলেন, "কংগ্রেস আগে এখানে এমন প্রার্থী দিয়েছিল যার নাম মৌসম। আর মৌসমের (মরশুম) পরিবর্তন হতেই থাকে। আমাদের পরিবর্তিত মৌসমের সঙ্গে না গিয়ে হাতের সঙ্গে থাকতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ভোট হতে দেয়নি। গণনাকেন্দ্র দখল করেছে। এই নির্বাচনে তৃণমূল আবার বুথ দখলের চেষ্টা করবে। তিনি আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদি সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন? দেননি। তাই এই চোরকে ভোট দেবেন না। তৃণমূলকেও ভোট দেবেন না। ভোট দেবেন শুধুমাত্র কংগ্রেসকে।"
সভা শেষে ইশা খান তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, "রতুয়ায় আমাদের নির্বাচনী সভা শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। হঠাৎ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে। মাইক বন্ধ করে, সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমাদের কর্মীদের সভাস্থানে আসতে বাধা দেয়। আমরা রতুয়া থানায় ইয়াসিন আলি ও আশিস কুণ্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দায়ের করছি নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত উত্তর মালদা কেন্দ্রের পুলিশ অবজ়ারভারের কাছেও। আমরা চাই নির্বাচনের চারদিন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় রুটমার্চ শুরু করুক।"
এদিকে ইয়াসিন আলি বলেন, "আজ ইশা খান যে অভিযোগ এনেছে তা ভিত্তিহীন। আমি মনে করি ইশা খান পাগল হয়ে গেছেন। কোনও স্ট্যান্ডে প্রচারে গেলে তাঁর সঙ্গে দু'জন লোকও পাওয়া যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে সকলেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। রতুয়ার কোনও মানুষ সেখানে যায়নি। কংগ্রেস বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেও সভা সফল করতে পারেনি।"