বৃষ্টিতে ধসে গেল মহানন্দার বাঁধ, আতঙ্কে মালদার গ্রাম

প্রতি বছরই বর্ষার সময় নাগেশ্বরপুর এলাকায় মহানন্দার বাঁধে অল্পবিস্তর ধস নামে ৷ এই নিয়ে একাধিকবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ এবার এখনও বর্ষা শুরু হয়নি ৷ কিন্তু যশের জেরে জেলাজুড়ে প্রবল বৃষ্টিতে গতকাল বাঁধের একাংশে বড়সড় ফাটল দেখা দেয় ৷ সেই খবর পেয়েই সেচ বিভাগকে বিষয়টি জানান সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ৷ সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁধ পরিদর্শন করেন সেচ বিভাগের কর্তারা ৷

সাহাপুর, 28 মে : যশের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিতে ধসে গেল মহানন্দা নদীর বাঁধের একাংশ ৷ তার জেরেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দাদের ৷ ইতিমধ্যেই বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছেন সেচ বিভাগের কর্তারা ৷ তাঁরা গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত বাঁধ সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে ৷ কিন্তু যতক্ষণ না সেই কাজ শুরু হচ্ছে, ততক্ষণ আতঙ্ক থেকে বেরোতে পারছেন না কেউ ৷

প্রতি বছরই বর্ষার সময় নাগেশ্বরপুর এলাকায় মহানন্দার বাঁধে অল্পবিস্তর ধস নামে ৷ এই নিয়ে একাধিকবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ এবার এখনও বর্ষা শুরু হয়নি ৷ কিন্তু যশের জেরে জেলাজুড়ে প্রবল বৃষ্টিতেই গতকাল বাঁধের একাংশে বড়সড় ফাটল দেখা দেয় ৷ ধসে যায় বাঁধের একাংশ ৷ সেই খবর পেয়েই সেচ বিভাগকে বিষয়টি জানান সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ৷ সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁধ পরিদর্শন করেন সেচ বিভাগের কর্তারা ৷

এই বিষয়ে গ্রামের এক বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “যশের প্রভাব যে এভাবে মালদায় পড়বে তা বুঝতে পারিনি ৷ গতকাল দিনভর মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে ৷ তাতে বাঁধের একাংশ তলিয়ে গিয়েছে ৷ বাঁধের উপরেই আমাদের বাড়ি ৷ রাতভর আতঙ্কে ঘুম হয়নি ৷ বাঁধ ভেঙে গেলে শুধু আমাদের বাড়ি নয়, গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি তলিয়ে যাবে ৷ বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ যানবাহন নিয়ে চলাচল করেন ৷ গতকাল সেচ বিভাগের কর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের উপর যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে বলেছেন ৷ তাই এখান দিয়ে আজ কোনও যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ আমাদের একটাই দাবি, দ্রুত এই বাঁধ মেরামত করা হোক ৷”