মালদা, ২৯ অক্টোবর : ছিল বিজেপি'র বিজয়া সম্মিলনী। কিন্তু তা পরিণত হল আসন্ন পুর নির্বাচন এবং 2024-এর লোকসভা নির্বাচনের দলীয় প্রস্তুতি সভায়। শুক্রবার এই ছবিই ধরা পড়ল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায়। তবে এর মধ্যেও বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির রাজনৈতিক সৌজন্য বোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'বাটপার মুখ্যমন্ত্রী' বলে সম্বোধন করেন ৷
পুজোর পরেই বেশ কয়েকটি জেলা সফরে বেরিয়েছেন রাজ্যে বিজেপি'র নব-নির্বাচিত সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ বীরভূম থেকে শুরু হওয়া সেই সফরের প্রথম ধাপ এদিন শেষ হয় মালদায়। দলের জেলা কমিটির তরফে এদিন মালদা টাউন হলে বিজয়া সম্মিলনী ও সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভাতে যোগ দেন রাজ্য বিজেপি'র দুই শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ ৷
আরও পড়ুন : TMC : মমতার হাত ধরে লিয়েন্ডার তৃণমুলে, জানেন না ভেস পেজ
এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি বাটপার বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে এখন তৃণমূলনেত্রী গোয়ায় গিয়েছেন। আজ তিনি নাফিসা আলিকে দলে যোগদান করিয়েছেন। উনি আমাদেরও শ্রদ্ধেয়া। তবে তাঁর রাজনৈতিক এক্সপেয়ারি হয়ে গিয়েছে। ২০০৪ সালে কংগ্রেস, ২০১৩ সালে আপের পর একুশে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। এঁদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করছেন। উনি বাংলায় বলতেন, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। এখন গোয়ায় গিয়ে বলছেন, তিনি গোয়ার মেয়ে। এমন বাটপার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ কখনও দেখেনি। তাঁর কথাবার্তায় মানুষ বিভ্রান্ত। তিনিই বহিরাগত শব্দ রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন । এখন গোয়ায় গিয়ে সাফাই দিচ্ছেন, তিনি বহিরাগত নন। সেখানে হিন্দুরা তাঁকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছেন, কালো পতাকা দেখাচ্ছেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় তিনি পশ্চিমবঙ্গে যে ধরনের অত্যাচার হতে দিয়েছেন তাতে দেশের মানুষ তাঁর মুখে রাজনৈতিকভাবে চুনকালি মাখাবে। গ্রামগঞ্জের মানুষই সেটা বলতে শুরু করেছেন।"
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন তিনি ৷ বলেন, "এখন মুখ্যমন্ত্রীর সাগরেদ হয়েছেন ভাইপো। উপ-নির্বাচনে চারটি আসনের প্রচারে হেলিকপ্টারে তিনি আসছেন, যাচ্ছেন। সাধারণ নির্বাচনে হেলিকপ্টারের অবশ্যই প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু উপনির্বাচনে! আমরা ট্রেনে চেপে উপ-নির্বাচনের ভোটপ্রচার করছি। আর চুনোপুঁটি দলের নেতা হয়েও তিনি হেলিকপ্টারের ব্যবহার করছেন । তিনি কখনও বাসে-ট্রেনে চেপেছেন কিনা সন্দেহ। আর হেলিকপ্টারে চেপে তিনি নাকি গরিব মানুষের কষ্ট বুঝছেন ।”