পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Crime Against Women: স্বামীর মারধরের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ অন্তঃসত্ত্বা

নেশার টাকা দেওয়ার চাপ স্ত্রীকে ৷ শেষমেশ সেই টাকা না পেয়ে নিজে তো বটেই, লোক দিয়েও স্ত্রীকে মারধর যুবকের ৷ পরিত্রাণ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ ওই অন্তঃসত্ত্বা ৷

pregnant tortured
অন্তঃসত্ত্বার উপর অত্যাচার

By

Published : Mar 20, 2023, 11:00 PM IST

মদের টাকা না দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর স্বামীর

মালদা, 20 মার্চ: স্বামীর মারধরের হাত থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের দারস্থ হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা ৷ ঘটনাটি চাঁচল এক নম্বর ব্লকের কাণ্ডারণ গ্রামের ৷ অভিযোগ, সংসার চালানোর খরচ দিত না স্বামী ৷ এমনকী খাওয়ার টাকাও দিত না ৷ তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী ৷ সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন ৷ বাড়ি ফেরার পরই তাঁর কাছে মদ কেনার জন্য টাকা চাইতে শুরু করে স্বামী ৷ তিনি টাকা দেননি ৷ নেশা করার টাকা না পেয়ে স্বামী নিজে তো বটেই, দু’জন বন্ধুকে দিয়েও স্ত্রীকে মারধর করায় বলে অভিযোগ ৷ ভেঙে দেয় বাড়ি ৷ ইনসাফ পেতে শেষ পর্যন্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী (Pregnant urges police to help her to get rid from husband torture) ৷

জানা গিয়েছে, চার বছর আগে কাণ্ডারণ গ্রামের রাজা সাহার সঙ্গে নির্যাতিতার সামাজিকভাবে বিয়ে হয় ৷ রাজা পেশায় গ্যারাজ মেকানিক ৷ বিয়ের সময় যুবতী জানতেন না, রাজার নেশা করার কাহিনি ৷ এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ এরই মধ্যে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন মহিলা ৷ মেয়ের জন্ম দেওয়ার পর থেকে তাঁর উপর রাজার অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে ৷ কিন্তু স্বামীর ঘর করবেন বলে সব অত্যাচার মুখ বন্ধ করে সহ্য করতেন তিনি বলে জানান নির্যাতিতা ৷ এরই মধ্যে ছ’মাস আগে তিনি দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ৷

বধূর অভিযোগ, আট মাস ধরে রাজার অত্যাচার সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল ৷ সংসার খরচ কিছুই দিত না সে ৷ কিন্তু টাকা না থাকলে নিজে খাবেন কী, আর মেয়েকেই বা কী খাওয়াবেন ! তাই পেটে বাচ্চা নিয়েই মেয়ের হাত ধরে ভিনরাজ্যে খাটতে চলে যান তিনি ৷ এরপর তিন মাস বাইরে খেটে বাড়ি ফিরে আসেন যুবতী ৷ ঘরে ফিরতেই অভিযুক্তের অত্যাচার শুরু হয়ে যায় ৷ মদ কেনার জন্য তাঁর কাছে টাকা দাবি করতে থাকে সে ৷

নির্যাতিতা বলেন, "আমি টাকা দিইনি ৷ তাই ও আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ৷ লোক দিয়েও আমাকে মার খাওয়ায় ৷ বাড়িঘর ভাঙচুর করে ৷ গতকাল সন্ধেতেও খুব মেরেছে ৷ এভাবে আমি আর থাকতে পারছি না ৷ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আমি কাজ করতে পারব না ৷ কেউ আমাকে কাজ দেবে না ৷ তাই ইনসাফ চাইতে আজ আমি চাঁচল থানার দ্বারস্থ হয়েছি ৷" নির্যাতিতার মুখ-সহ গোটা শরীরে মারের দাগ দেখে স্তম্ভিত চাঁচল থানার পুলিশও ৷ অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজার খোঁজে নেমে পড়েছে চাঁচল থানার পুলিশ আধিকারিকরা ৷ তবে এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷

আরও পড়ুন:কাজের লোভে ভারতে অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশি নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার 2

ABOUT THE AUTHOR

...view details