মালদা, 26 অক্টোবর:একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ তাদের অভিযোগ, স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির ঘটনায় বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে সম্প্রতি তলব করেছে সিবিআই ৷ কিন্তু হাজির হওয়ার দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি ভয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি বলেই অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা ও জেলা আদালতের আইনজীবী সঞ্জয় শর্মা ৷ যদিও বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চিঠি পাওয়ার পর নির্দিষ্ট দিনেই তিনি সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সমস্ত নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, একটি স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে ডেকে পাঠিয়েছিল ৷ ওই স্ট্যাম্পটি যাঁর নামে ইস্যু করা হয়েছিল, তাঁর নামে সেটি ব্যবহার করা হয়নি ৷ অন্য কারও নামে সেটি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ যা সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভয়ে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি ৷ তবে ওই চিঠি আসার পর মালদা জেলা আদালতে আধার কার্ড দেখার পর স্ট্যাম্প পেপার ইস্যু করা হচ্ছে ৷ এই আদালতে আরও অনেক বেআইনি কাজ চলছে ৷ রাজ্যের কোনও আদালতে এফিডেভিটের জন্য টাকা নেওয়া হয় না ৷ কিন্তু এখানে 200 টাকা করে নেওয়া হচ্ছে ৷ এভাবে এখানে প্রতিদিন 80 হাজার থেকে এক লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে ৷
সঞ্জয় শর্মার তীব্র দাবি, "আমি কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন ফাইল করেছি ৷ আইনমন্ত্রীকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি ৷ তিনি রাজ্যের বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও আদালতে যেন এফিডেভিটের জন্য টাকা আদায় না করা হয় ৷ তবুও এখানে টাকা আদায় চলছেই ৷ এখানে ওকালতনামার ক্ষেত্রেও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে ৷ এতে গরিব মানুষ আরও সমস্যায় পড়ছে ৷ এসব টাকা ধনী উকিলদের মধ্যে ভাগ করা হচ্ছে ৷ এখানে টেন্ডার ছাড়াই বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে ৷ বার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল মিটিংয়ে কোনও অ্যাপ্রুভাল না নিয়েই সেই টাকা খরচ করা হচ্ছে ।”