পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ডিসেম্বরেই নতুন পুলিশ জেলা তৈরি হতে চলেছে মালদায়

শুধু মালদাতেই নয়, একই সময় মুর্শিদাবাদ জেলাতেও দুটি পুলিশ জেলা গঠিত হতে চলেছে ৷ সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরেই নতুন পুলিশ জেলা তৈরি হতে চলেছে মালদায় ৷

পুলিশ জেলা

By

Published : Nov 5, 2019, 11:17 PM IST

মালদা, 5 নভেম্বর : সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরেই নতুন পুলিশ জেলা তৈরি হতে চলেছে মালদায় ৷ এ নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন ৷ তবে শুধু মালদাতেই নয়, একই সময় মুর্শিদাবাদ জেলাতেও দুটি পুলিশ জেলা গঠিত হতে চলেছে ৷

মালদা জেলায় দুটি মহকুমা ৷ মালদা সদর ও চাঁচল৷ এই মুহূর্তে চাঁচল মহকুমার মধ্যে 4টি থানা রয়েছে৷ সেগুলি হল হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া ও পুখুরিয়া৷ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চাঁচল পুলিশ জেলায় মানিকচক ও ভূতনি থানাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ ভবিষ্যতে হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল থানা ভেঙে আরও দুটি থানা তৈরি করা হবে ৷ তার সঙ্গে সামসী ফাঁড়িকেও থানায় উন্নীত করা হবে ৷ অর্থাৎ, নতুন পুলিশ জেলায় থানার সংখ্যা ধীরে ধীরে 9টিতে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ অন্যদিকে, মালদা পুলিশ জেলায় থাকবে বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, ইংরেজবাজার, মালদা, বামনগোলা, হবিবপুর ও গাজোল থানা ৷

অর্ণব ঘোষ পুলিশ সুপার থাকাকালীন 2018 সালে এই জেলায় দ্বিতীয় একটি পুলিশ জেলা তৈরির প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয় ৷ দ্বিতীয় পুলিশ জেলা গঠনের কারণ হিসাবে 3733 বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই জেলায় থাকা 172 কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে জেলার জনসংখ্যার বিষয়টিও ৷ 2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় 40 লাখ ৷ গত 10 বছরে জনসংখ্যা 15 শতাংশ বাড়লেও এখন তা গিয়ে দাঁড়ায় 46 লাখে৷ এই অবস্থায় জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় একটি পুলিশ জেলা গঠন করা ভীষণ প্রয়োজন বলে মনে করছে জেলা পুলিশ ৷ তবে প্রস্তাবিত চাঁচল পুলিশ জেলায় মানিকচক ও ভূতনি থানার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কিছু প্রশ্নও দেখা দিয়েছে ৷ এই দুই থানা থেকে মালদা শহর কাছে ৷ তাই এই দুই থানাকে চাঁচল পুলিশ জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে দূরত্বের কারণে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছে জেলা পুলিশের একটি মহল ৷

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, "জেলায় যোগ দেওয়ার আগেই এই প্রস্তাব রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ৷ তবে মালদা জেলার সীমান্ত এলাকায় কিছু থানা গঠন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ৷ কারণ, সীমান্তে বিএসএফ মোতায়েন থাকলেও তারা সমাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারে না ৷ সেই দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হয় ৷ সে ক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় ছোটো ছোটো এলাকা বিশিষ্ট থানা তৈরি হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের পক্ষে অনেকটা সহজ হয় ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details