মালদা, 6 ফেব্রুয়ারি : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরিকে ঘেরাও করলেন শিক্ষাকর্মীরা ৷ আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না করতে পারলে পদত্যাগ করতে হবে রেজিস্ট্রারকে ৷ শীতের রাতে এখনও পর্যন্ত তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের বাইরে, খোলা আকাশের নীচে আটক করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা ৷ বিপ্লববাবু জানিয়েছেন, শিক্ষাকর্মীদের দাবি চিন্তা করে তাঁদের প্রত্যেকের জন্য প্রতি মাসে ৪২০০ টাকা অন্তর্বর্তী ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ যতদিন না রাজ্য সরকার অস্থায়ী কর্মীদের জন্য ROPA 2019 অনুযায়ী বেতন চালু করে, ততদিন প্রত্যেককে এই ভাতা দেওয়া হবে ৷ কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা ছাড়া অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীদের ROPA 2019 অনুযায়ী বেতন দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ এরই প্রতিবাদে গত চারদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষাকর্মীরা ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ৷ তাঁদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ৷
গত 24 জানুয়ারি কলকাতায় এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের পর আজ বিকেলে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি ৷ এদিকে নিজেদের 10 দফা দাবিতে গত চারদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা ৷ আজ সেখানে পৌঁছতেই ঘেরাও করা হয় বিপ্লববাবুকে ৷ কেন তাঁদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে না তা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন আন্দোলনকারীরা ৷ তবে এদিন বিপ্লববাবুর পদত্যাগের দাবিতেই বেশি সোচ্চার ছিলেন শিক্ষাকর্মীরা ৷ আন্দোলনকারীদের পক্ষে সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতি, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শম্পা মিত্র বলেন, “হয় আজ তিনি আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন, অথবা পদত্যাগ করে ভিতরে যাবেন ৷ উনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ৷ এর আগে EC-র একটি ভুয়ো রেজ্যুলেশন দেখিয়ে উনি আমাদের আন্দোলন তুলে দিয়েছিলেন ৷ তিনি নিজেই বলেছিলেন, আমাদের দাবি পূরণ না করতে পারলে আমরা যেন তাঁকে নিয়ে বসে পড়ি ৷ আজ আমরা তাঁর সেই নির্দেশই পালন করছি ৷ তাঁরা এখন বলছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ ছাড়া আমাদের ROPA 2019 অনুযায়ী বেতন দেওয়া যাবে না ৷ কথার জাল বুনে আমাদের ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ৷ ইচ্ছে করলে তারা সব করতে পারেন ৷ আমারা সরকারি কর্মী নই ৷ আমাদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয় ৷ এখানে সরকারের কোনও বিষয় নেই ৷ আমরা চাই, এই রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করুন ৷ তাঁর জায়গায় যোগ্য কাউকে রেজিস্ট্রার করা হোক ৷”