মালদা, ২২ এপ্রিল : মালদা জেলার ৯২ শতাংশ বুথে থাকছে কেন্দ্রীয়বাহিনী । গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকের পর একথা জানালেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে । ২৩ এপ্রিল মালদা উত্তর ও দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোট ।
শুক্রবার মালদায় এসেছেন বিবেক দুবে । তারপরেই মালদা জেলার পুলিশ সুপার পদ থেকে অর্ণব ঘোষকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজয় প্রসাদকে । জানা গেছে, মালদার জন্য প্রথমে ৮৯ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে আরও ১৮ কম্পানি আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন । এই কম্পানি আসছে কাশ্মীর থেকে ।
এদিকে, অর্ণব ঘোষের SP পদ থেকে অপসারণের পরেই মালদায় একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেছে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা । এই জেলার ২৮৭৫টি বুথের মধ্যে ২৫১২টি বুথকেই স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন ।
গতকাল মালদায় নতুন সার্কিট হাউজ়ে বিবেক দুবে সর্বদলীয় বৈঠক করেন । বৈঠক শেষে মালদা উত্তর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরি বলেন, "নির্বাচন কমিশনের দুটি পদক্ষেপের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ । প্রথমত, মালদা জেলার প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে, এতে মানুষের আশা বেড়ে গিয়েছে । দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসের দাবি মেনে পুলিশ সুপারকে অপসারণ করেছে । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল তা সকলের জানা । এই পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের অধীনে স্ট্রংরুমে ব্যালটবক্স লুট হয়েছে । পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নির্বাচন না বলে লুট বলা চলে । আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলেছিলাম, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদায় এত রিগিংয়ের পরেও লোকসভা নির্বাচনে কীভাবে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ? আজ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে আমরা দাবি রেখেছি, অবিলম্বে মালদার জেলাশাসককেও অপসারণ করতে হবে । মালদা জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেসব দুষ্কৃতী ভোট লুট করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে । আমি উত্তর মালদা কেন্দ্রের প্রার্থী, সাধারণ মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছেন এই সব দুষ্কৃতীরা তাঁদের প্রতিনিয়ত ভয় দেখাচ্ছে । এই সব দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে মানুষ ঠিকঠাক ভোট দিতে পারবে না । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুষ্কৃতীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট লুট করেছে । ভোটের সময় এদের আটকালে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে ।"