মালদা, ২১ ফেব্রুয়ারি : সংরক্ষিত কামরায় ছিনতাই করতে গেলে বাধা দিয়েছিলেন। তাই মহিলাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি।
যোগবাণী এক্সপ্রেসে কলকাতা থেকে পূর্ণিয়ায় এক আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন অঞ্জলি দাস (৩৪)। সঙ্গে ছিল ছেলে আদিত্য দাস। অঞ্জলি আয়কর বিভাগের কর্মী। গতরাতে ফরাক্কা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতীরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে চলন্ত ট্রেন থেকে অঞ্জলিকে ফেলে দেওয়া হয়। যাত্রীরা চেন টানলেও ট্রেন থামেনি। মালদা স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে অঞ্জলিকে উদ্ধার করেন RPF কর্মীরা। তারপর তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
অঞ্জলির ছেলে আদিত্য বলে, "রাতে আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি মা'য়ের কম্বল ও জুতো পড়ে আছে। খোঁজাখুঁজি করেও মা'কে পাইনি। চেন টানার পরও ট্রেন থামেনি। মালদা পৌঁছে জানতে পারি মা'কে উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ের কাছে শুনলাম কয়েকজন দুষ্কৃতী মায়ের ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখনই মা'কে ট্রেন থেকে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।"
মালদা GRP-র IC ভাস্কর প্রধান জানান, তিনি RPF কর্মীদের কাছে ঘটনাটি শুনেছেন। বনিডাঙা এলাকায় যোগবাণী এক্সপ্রেসের গতি কমলে এক দুষ্কৃতী ওই মহিলার ব্যাগ নিয়ে পালাতে যায়। সেই সময় ওই মহিলা তাঁকে ধরতে গিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে যান। ফরাক্কা RPF কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে সকালে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করেন।