মালদা, 10 ফেব্রুয়ারি: বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমকে অনেক ফজলি আম খাইয়েছেন৷ এবার তৃণমূলকে খাওয়ান৷ আম আর আমসত্ত্ব, দু’টোই কিন্তু আমরাই খাব৷ খাওয়াবেন তো? বুধবার মালদার কর্মিসভার একেবারে শেষ লগ্নে এভাবে মজার ছলেই ইভিএমে জনতার সমর্থন চাইলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়৷
এদিন মালদার কর্মিসভার প্রধান বক্তাই ছিলেন মমতা৷ নামে কর্মিসভা হলেও কার্যত তা পরিণত হল নির্বাচনের প্রচারমঞ্চে৷ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই গেরুয়াশিবির-সহ বিরোধীদের বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ একইসঙ্গে, তাঁর গলায় ঝরে পড়ল অনুযোগ৷
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্য়ে মমতা বলেন, সেই ছাত্ররাজনীতির সময় থেকে বারবার উত্তরের এই জেলায় ছুটে এসেছেন তিনি৷ সাধ্য় মতো দাঁড়িয়েছেন মানুষের পাশে৷ তাঁকে দেখতে উপচে পড়েছে ভিড়৷ অথচ, মালদায় ভোটের ঝুলি বরাবর ফাঁকাই থেকে গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীর৷ এ নিয়ে অভিমান লুকিয়ে রাখেননি তিনি৷ এদিন আবেগের সুরে মমতা বলেন, ‘‘আমি ভাবি মালদা আমাকে গ্রহণ করেছে৷ কিন্তু পরে দেখি লোকসভায় আমরা জিরো৷ বিধানসভাতেও প্রায় একই অবস্থা৷ কংগ্রেসের জয়ী প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে এসেছেন বলে তবু খানিকটা আছি৷’’ এরপরই মমতার সটান প্রশ্ন, ‘‘আমরা কি মালদা পাব না কোনওদিন?’’
গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে শিকে ছেঁড়েনি তৃণমূলের৷ সর্বত্রই শুধু পদ্মের দাপট৷ এদিকে, এরই মধ্যে রাজ্য়জুড়ে পালে হাওয়া লেগেছ বিজেপির৷ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে হারতে মৌসম বেনজির নূরকেও৷ মমতার দাবি, এসবই আসলে চক্রান্ত৷ তাঁর মতে ভোট এলেই সমস্ত হিসেবনিকেশ পালটে যায়৷ বাম, বিজেপি, কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করে নেয়৷ আর তৃণমূলকে ফিরতে হয় খালি হাতে৷
মমতার বার্তা, এবার আর এমন করলে চলবে না৷ মালদাতেও ফোটাতে হবে জোড়া ফুল৷ একমাত্র তবেই নিশ্চিত হবে বিনামূল্য়ে রেশন, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ তাঁর প্রতিশ্রুতি, রাজ্য়ের প্রত্য়েকটি মানুষ স্বাস্থ্য়সাথীর সুবিধা পাবেনই৷